আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবিতে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার হলো।
 
আজ সোমবার (২১ মার্চ) সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
 
তিনি জানান, ভোরে ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধারের পর তল্লাশি চালানো হয়েছে। সেখানে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, স্রোতের কারণে মরদেহ চলে যেতে পারে। মরদেহের খোঁজে নদীতে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত আছে।
 
রোববার (২০ মার্চ) রাত পৌনে ১০টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে রাতের মতো তল্লাশি অভিযান স্থগিত রাখেন উদ্ধারকর্মীরা।
 
নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বলেন, বেলা ২টার দিকে টার্মিনাল থেকে যাত্রীবাহী এমএল আফসারউদ্দীন লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। যাওয়ার পথে লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন রূপসী-৯ কার্গো। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়।
 
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, রোববার বেলা আড়াইটার দিকে বন্দর থানার আল আমিন নগর ও সৈয়দপুরের মাঝামাঝি কয়লাঘাট এলাকায় নির্মিতব্য নাসিম ওসমান ব্রিজের কাছে একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
 
দুর্ঘটনার পর সাঁতরে তীরে ওঠা মো. আবু তাহের জানান, রূপসী-৯ নামের কার্গোটি তাদের লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার পর পক্ষে ৫০ মিটার দূরে গিয়ে লঞ্চটি ডুবে যায়।
 
ধারণা করা হয়, এতে শতাধিক যাত্রী ছিল। ১৫-২০ জনের মতো সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বাকিরা নিখোঁজ ছিলো। 
 
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানা পুলিশের ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী মুন্সিগঞ্জগামী যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। খবর পাওয়ার পর আমাদের নৌপুলিশের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে রয়েছে।
 
এদিকে, খবর পেয়ে শীতলক্ষা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযানে নামে কোস্টগার্ড।
 
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জে জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবিতে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় নৌবাহিনীর ডুবুরি দল।
 
তাসনিয়া রহমান
 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন