আর্কাইভ থেকে টুকিটাকি

বৃদ্ধ দম্পতিকে বেহুঁশ করে দুই কোটি টাকা লুট

বৃদ্ধ দম্পতিকে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে নগদ এবং গয়না মিলিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকা লুট করে পালানোর অভিযোগ উঠল দুই পরিচারকের বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গুরুগ্রামের একটি অভিজাত আবাসনে।

পুলিশ জানায়, ওই অভিজাত আবাসনের যে ফ্ল্যাটে চুরি হয়েছে, সেই ফ্ল্যাটটি দিল্লির এক ব্যবসায়ীর। নাম আঁচল গর্গ। স্ত্রী, সন্তান এবং বয়স্ক মা-বাবাকে নিয়ে থাকেন ওই ফ্ল্যাটে। বৃহস্পতিবার সকালে স্ত্রী এবং সন্তানদের নিয়ে রাজস্থানের জয়পুরের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।

ওই দিন রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ আঁচলের বোন নিকিতা ফোন করে দাদাকে জানান, তাদের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। বাবা-মা দু’জনেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে রয়েছেন ফ্ল্যাটে। নিকিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, আঁচল বেরিয়ে যাওয়ার পর রাতের দিকে ফ্ল্যাটে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তার দাবি, বেশ কয়েক বার ফ্ল্যাটের কলিং বেল বাজালেও বাবা-মা কেউই বেরিয়ে আসছেন না দেখে সন্দেহ হয়। তার পর তিনি বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানান। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন।

পুলিশ এসে ফ্ল্যাটের দরজা খুলতেই দেখে বৃদ্ধ দম্পতি ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। নিকিতার কাছ থেকে খবর পেয়ে শুক্রবার ভোরে গুরুগ্রামে ফিরে আসেন আঁচল। তিনি দেখেন, আলমারি থেকে নগদ ৩৫ লাখ টাকা এবং দেড় কোটি টাকা মূল্যের গয়না উধাও। আঁচল যে গাড়িটি ব্যবহার করতেন সেটিও চুরি হয়ে গিয়েছিল। বীরেন্দ্র এবং যশোদা নামে দুই পরিচারকও বেপাত্তা ছিলেন।

তারাই এ কাজ করে থাকতে পারেন এই সন্দেহে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন আঁচল। তাঁর বাবা একটু সুস্থ হলে জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দু’জনকে খেতে দিয়েছিলেন যশোদা। তার পরই তিনি এবং তাঁর স্ত্রী জ্ঞান হারান। আঁচল জানিয়েছেন, সপ্তাহ দুয়েক আগে বাড়ির কাজে ঢোকেন বীরেন্দ্র। তার এক সপ্তাহ পরে যোগ দেন যশোদা। পুলিশ যে সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে, তাতে চুরির ঘটনাটি ধরা পড়েছে। বীরেন্দ্র এবং যশোদা সঙ্গে আরও দু’জন এই চুরির কাজে জড়িত ছিলেন জানিয়েছে পুলিশ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন