আর্কাইভ থেকে আবহাওয়া

নতুনরূপে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’

হঠাৎই রূপ বদলে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত গভীর নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঘূণিঝড় ‘অশনি’। উপকূল এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টি হচ্ছে ভারতে।  বাংলাদেশসহ পশ্চিমবঙ্গে এর প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আজ মঙ্গলবার (২২ মার্চ) আবহাওয়াবিদ মো. শাহিন জানান, ঘূণিঝড় অশনি বাংলাদেশে কোনো আঘাত হানার সম্ভাবনা নেয়। তবে এর প্রভাবে উপকূল এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখাতে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এবং গভীর সাগরে তাদেরকে বিচরণ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম  হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এ অতি গভীর নিম্নচাপ ক্রমশ মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোচ্ছে। ঘূণিঝড় অশনির আগমনের আগেই গেলো রোববার (২০ মার্চ) থেকে কাজে নেমেছে এনডিআরএফের দল। আন্দামানের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন হয়েছেন এনডিআরএফ সদস্যরা। 

আবহাওয়ার রিপোর্ট বলা হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে এ মুহূর্তে উত্তর আন্দামান সাগরে কোনো ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে না। বর্তমান সিস্টেমটি আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নিম্নচাপের ফলে আন্দামানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এর জন্য প্রস্তুত রয়েছে জায়ীত বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। আজ মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিকালের মধ্যে এটি 'নিম্নচাপ' হিসাবে মায়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি। 

আন্তর্জাতিক নাম তালিকা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় পরিচিত হবে ‘অশনি’ নামে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে শ্রীলংকা। ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর দিকে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এগোবে। সেখান থেকে উত্তরপূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ঘূর্ণিঝড় অশনি আছড়ে পড়বে মিয়ানমার উপকূলে।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন