আর্কাইভ থেকে রূপচর্চা

ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখবে বডি ওয়াশ

গোসলের সময় সাবানের চাইতে বডি ওয়াশ ব্যবহার বেশি উপকারী। স্কিনকে ক্লিন করার পাশাপাশি এটি আমাদের স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড রাখতেও হেল্প করে। স্কিনে ড্রাইনেস এর প্রবলেম এর সল্যুশন হিসেবে কাজ করতে পারে বডি ওয়াশ। এটা স্কিনের পি এইচ ব্যালেন্সও ঠিক রাখে। আর তাই শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি শুষ্ক আবহাওয়াতে আরও বেশি যত্নবান হওয়ার প্রয়োজন পড়ে। বডি ওয়াশে যেসব উপাদান থাকলে ত্বক শুষ্ক হয় না “শুষ্ক ত্বকে বডি ওয়াশ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু উপাদানের দিকে খেয়াল দিতে হয়”- বলেন নিউ জার্সির নিবন্ধিত ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. আনান্দ গেরিয়া।

ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি পরামর্শ দেন, “এমন উপাদান নির্ভর বডি ওয়াশ ব্যবহার করতে হবে যেগুলো মৃদু এবং ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে।”

এরকম উপাদানের মধ্যে রয়েছে গ্লিসারিন, শিয়া বাটার, নারিকেল তেল বা অ্যালো ভেরার নির্যাস।

“এসব উপাদান বডি ওয়াশের বোতলের গায়ে লেখা উপকরণের তালিকায় থাকে। আর এগুলো শুষ্ক ত্বক কোমল ও আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে”- বলেন এই ত্বক বিশেষজ্ঞ।

বডি-ওয়াশ

মিয়ামি নিবাসী আরেক চর্মরোগ-বিশেষজ্ঞ ডা. লোরেটা সিরাল্ডো আরও বলেন, “সেরামাইডস, মেরুলা অয়েল এবং অর্গান অয়েল অতিরিক্ত আর্দ্রতা রক্ষক উপাদান। তাই বডি ওয়াশ কেনার ক্ষেত্রে এসব উপাদান সমৃদ্ধ কিনা দেখে নিলে উপকার মিলবে বেশি।” এড়াতে হবে যেসব উপাদান বডি ওয়াশ শুধু শরীর পরিষ্কারে জন্যই নয়, ত্বক আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে।

তবে কিছু ‍উপাদান ত্বক আরও শুষ্ক করে দিতে পারে।

এই বিষয়ে সাবধান করে ডা. সিরাল্ডো বলেন, “সোডিয়াম লরল সালফেট, সোডিয়াম লুরেথ সালফেট, ট্রিক্লোজেন, ইথাইল অ্যালকোহল ও কৃত্রিম রং- এসব উপকরণ-যুক্ত বডি ওয়াশ ত্বক শুষ্ক করে দেয়।”

এছাড়া কড়া রাসায়নিক ও গন্ধযুক্ত যে কোনো প্রসাধনী ত্বকে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। তাই গন্ধহীন বডি ওয়াশ শুষ্ক ত্বকে ব্যবহারের পরামর্শ দেন ডা. গেরিয়া।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন