আর্কাইভ থেকে রোগব্যাধি

রেকর্ড সংখ্যক রোগী আইসিডিডিআর,বিতে

গেলো এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দৈনিক ১২-১৩শ ডায়রিয়া রোগী আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআর,বি) ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে প্রায় আট হাজারেরও বেশি মানুষ চিকিৎস নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে রোগী সামলাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন কর্তব্যরতরা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালের প্রধান ডা. বাহারুল আলম।

এ সময় ডা. বাহারুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বছরে দুই বার শীত ও গরমের সময়ে বাড়ে। এ সময় দৈনিক গড়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ রোগী থাকলেও সর্বোচ্চ এক হাজারের মতো হয়। কিন্তু এবার এটা এক হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে।

বাহারুল আলম আরও বলেন, গেলো ২২ মার্চ রাতে রোগীর সংখ্যা ছিল এক হাজার ২৭২ জন, এর পরের দিন (২৩ মার্চ) এক হাজার ৩৩ জন নতুন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। আবার আজ বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত হয় তো আরেকটু বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

হঠাৎ ডায়রিয়া রোগী সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ প্রসঙ্গে ডা. বাহারুল আলম জানান, গরমে ডায়রিয়ার জীবাণুটি অনুকূল পরিবেশ পায়। এ সময়ে তারা বেশিক্ষণ তারা যুদ্ধ করে বাঁচতে পারে। তাছাড়া গরমের সময়ে জীবাণুটি বেশি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়, অনেক বেশি ছাড়িয়ে থাকে। তাছাড়া মানুষ গরমের কারণে পিপাসার্ত হয় এবং পানি পানের ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করে না। এ দুটি কারণ ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়াতে সাহায্য করে।

সাধারণ মানুষের কী করণীয় সম্পর্কে আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালের প্রধান বলেন,  বাইরের কোনো খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যেখান-সেখান থেকে পানি পান করা যাবে না। পানি যদি খেতে হয় তাহলে সেটি ফুটিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় নিশ্চিত হতে হবে যে পানি পান করা হচ্ছে সেটি জীবাণুমুক্ত। আর করোনাকালীন সময়ের হাত ধোয়ার যে অভ্যাস তৈরি হয়েছে, সেটা বজায় রাখতে হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালের এপ্রিলে ডায়রিয়ার এ রকম প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। মহামারির মতো রূপ ধারণ করে ওই বছরের মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন