আর্কাইভ থেকে এশিয়া

গাজায় গণহত্যার ঝুঁকিতে ফিলিস্তিনিরা: জাতিসংঘ

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য সময় ফুরিয়ে আসছে। তারা গণহত্যার মতো গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের সাতজন বিশেষ প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ দল এ কথা জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

তারা বলেন, আমরা নিশ্চিত রয়েছি যে ফিলিস্তিনি জনগণ গণহত্যার মতো গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমরা একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি দাবি করছি, যাতে প্রয়োজনীয় সাহায্য তাদের কাছে পৌঁছায়।

বিশেষজ্ঞরা মঙ্গলবার রাত থেকে উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমান হামলা সম্পর্কে গভীরতর আতঙ্কের তথ্য প্রকাশ করেছেন। যে হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছেন। তারা এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন তারা।

তারা বলেছেন, জাতিসংঘ, মানবিককর্মীদের নিরাপত্তা, সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গণহত্যার অপরাধকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে একটি জাতীয়, জাতিগত, জাতিগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা করে বা অন্যান্য উপায়ে ধ্বংস করার নির্দিষ্ট অভিপ্রায় হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে, যার মধ্যে জন্ম রোধ করার উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা আরোপ করা বা জোরপূর্বক শিশুদের স্থানান্তর করা। এক দল থেকে আরেক দল।

ফিলিস্তিনি ইস্যুতে জাতিসংঘের মানবধিকার সংস্থা থেকে পদত্যাগ করেছেন মোখিবার। তিনি লিখেছেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এখন যা চলছে তা পরিষ্কারভাবে গণহত্যা, যাকে আমরা বলতে পারি ‘টেক্সটবুক কেস অব জেনোসাইড’। এ ব্যাপারে সংশয়ে ভোগার কোনো কারণ বা সুযোগ আর কারও নেই। আমাদের চোখের সামনে প্রতিদিন শত শত ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র তার অপ্রতিরোধ্য শক্তি দিয়ে জাতিসংঘকে ঘিরে ধরেছে এবং তার প্রভাবে ইসরাইলি লবি ব্যাপক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।

পদত্যাগপত্রে মোখিবার আরও লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ এই ভয়ঙ্কর গণহত্যাকে অকুণ্ঠভাবে সমর্থন করছে। তারা ইসরাইলকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক, কূটনৈতিক, গোয়েন্দা তথ্য এক কথায় সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে। পশ্চিমা করপোরেট সংবাদমাধ্যমগুলো এমনভাবে সংবাদ প্রকাশ করছে, যাতে এ পুরো প্রক্রিয়া কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন