আর্কাইভ থেকে আইন-বিচার

শুনানিতে আদালতকে যা বললেন আমীর খসরু

গায়েবি মামলা শব্দটি বিশ্বের কোনো দেশে ব্যবহৃত হয় না। গায়েবি মামলা ডিকশনারিতে নতুন শব্দ যোগ হয়েছে। অথচ বিরোধী দলের ৫০ লাখ মানুষ গায়েবি ও মিথ্যা মামলার শিকার। বাংলাদেশের মানুষ যাতে ভোট দিতে না পারে তাই এসব গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে। যেখানে লাখো জনতার সমর্থন আছে, সেখানে আমরা কেন সহিংসতা করব? যাদের জনসমর্থন নেই, জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়, তারাই এ সহিংসতা করছে। আদালতকে বলেছেন আমীর খসরু মাহমুদ।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর)  আদালতে আমীর খসরু এবং জহির উদ্দিন স্বপনকে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবির পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ও শেখ শাকিল আহম্মেদ রিপন জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবী জামিন নামঞ্জুর করে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে গুলশানের অপর একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন।

গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ফকিরাপুলের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় আমিরুল নামে এক পুলিশ কনস্টেবল মাথায় আঘাত পেয়ে মারা যান। এ ঘটনায় পরদিন ২৯ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।

মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করে দলটির ১৬৪ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন