আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বরেণ্য শিক্ষাবিদরা ভিসি হতে চান না : শিক্ষামন্ত্রী

বরেণ্য শিক্ষাবিদদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী হন না। আমাদের বরেণ্য শিক্ষক যারা আছেন তাদের উপাচার্য হিসেবে পেলে গর্ব অনুভব করতাম। বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর বিল-২০২২’ পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, তাদের অনেকেই এই প্রশাসনিক দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নন। আমরা চাইলেও সবচেয়ে ভালো কেউ আগ্রহী হবেন তেমন নয়।

বিলটির ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব সংসদে তোলার সময় বিরোধীদল জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু এবং বিএনপির হারুনুর রশীদ উপাচার্যদের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করেন।

চুন্নু বলেন, ‘আগে উপাচার্যদের কথা শুনলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসতো। এখন তাদের দুর্নীতির খবর শুনে লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসে। পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ দিচ্ছেন। দুর্নীতি করছেন।’ বিবেচনার বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানান তিনি।

বিএনপির হারুন অভিযোগ করে বলেন, ‘উপাচার্যরা যা ইচ্ছা তাই করছেন’।

এসবের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কার্যকলাপ নিয়ে কিছু কিছু সমালোচনা আছে। যেগুলোর সত্যতাও আছে এবং সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ঢালাওভাবে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরদের নিয়ে মন্তব্য করা সমীচীন মনে করি না।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের জন্য প্যানেল প্রস্তুত করে পাঠানো হয়। আমি আগেও বলেছি। আবার উপস্থাপন করছি; প্রথম দেখা হয় তাদের একাডেমিক একসিলেন্স। দ্বিতীয়টি দেখা হয়, তারা গবেষণায় কেমন। একইসঙ্গে কোনো প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দিয়েছেন কি না- সেটাও দেখা হয়। উপাচার্য শুধু একাডেমিক দিক দেখে হয় না, নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলীও জরুরি। সেইসঙ্গে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন কি না সেটাও দেখা হয়। এসব বিবেচনায় যারা সবচেয়ে ভালো তাদের নাম প্রস্তাব করা হয়।

 

এসআই/

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন