আর্কাইভ থেকে বিএনপি

মানুষ ট্রাকের পেছনে লাইন দিচ্ছে আর কনসার্টে প্রধানমন্ত্রী গান শুনছেন : মির্জা ফখরুল

আজ এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে একদিকে মানুষ টিসিবির ট্রাকের পেছনে লাইন দিচ্ছে। কারণ তার নিত্যপ্রয়োজনী চাল-ডাল-তেল-লবন কেনার জন্য যে অর্থ দরকার, সেই অর্থ তাদের কাছে নেই। হু হু করে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। আর ওই সময় আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে বিখ্যাত গায়ককে নিয়ে এসে কনসার্টে তিনি গান শুনছেন, নিজে ভিডিও করছেন এবং সেখানে কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বুধবার (৩০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ও সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর কারামুক্তি উপলক্ষে এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, খুব জোর গলায় বলা হচ্ছে, এক কোটি কার্ড দেয়া হয়েছে গরিব মানুষদের। আজকে পত্রিকায় দেখতে পারবেন, আমার ঠাকুরগাঁয়ে যাকে কার্ড দিয়েছে সে হচ্ছে আওয়ামী লীগের, মহিলা লীগের সভানেত্রী এবং তার দোতালা বাড়ি আছে। আর তার পাশেই গরিব মানুষ যার চালও নেই বাস করার জন্য ঘরও নেই। সে কোনো কার্ড পায়নি। এই অবস্থা গোটা দেশের।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে এখন একটা ভয়াবহ অবস্থা চলছে। এত খারাপ অবস্থা কখনো দেখিনি। এখানে কোনো রকমের কোন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ন্যূনতম স্বাধীনতা বোধ, একজনের সঙ্গে আরেক জনের সৌজন্য নিয়ে কথা বলা সেটা পর্যন্ত চলে গেছে। হবে না কেন? যারা চাকর তারা যদি মালিক বনে যায়, তখন তো সেটা সেই অবস্থায় দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, আজকে দেশে সেই অবস্থা হয়েছে। এমন এমন কথা এমন এমন লোক বলছে যাদের জীবন চলে জনগণের টাকায়, যাদের বেতন হয় জনগণের টাকায়, তারা মালিক হয়ে বসে আছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আসলে যারা ক্ষমতায় থাকেন তারা সুযোগ পেলেই যারা সত্য কথা লিখেন, তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের নির্যাতন করেন, কারাগারে নিক্ষেপ করেন। অনেক সময় তাদের কেটে টুকরো টুকরো করে ভাসিয়ে দেন। এখন যে ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ হচ্ছে, কয়েকজন সাংবাদিক গ্রেপ্তার হয়েছে। সাগর-রুনির হত্যাকারীদের এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, আইনটা কারা করবে? আইনটা সাংবাদিকরা করছে না। আইনটা করছে পার্লামেন্টের সদস্যরা। যারা বিনা ভোটে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, তারা আইন তৈরি করবে আপনাদের জন্য, গণমাধ্যমের জন্য। সেটা কি অবস্থায় দাঁড়াবে আমরা জানি।

তিনি আরও বলেন, উপাত্ত সংরক্ষণ আইন। নতুন একটা বিল আসছে। ৩৪ পৃষ্ঠার একটা খসড়া দিয়েছে। কিছুদিন আগে দিলো বিটিআরসি কন্ট্রোল করবে সোশ্যাল মিডিয়া। বক্তব্য গুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। সোশ্যাল মিডিয়াকে কি করে কন্ট্রোল করা যায় তারও একটা আইন আসছে। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে এটাকে একটা কর্তৃত্ববাদী বললে ভুল হবে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ। এখানে কথা বলার তো স্বাধীনতা নেই, কথা বললে শিরচ্ছেদও হতে পারে এরকম একটা অবস্থা তৈরি হতে যাচ্ছে।

মির্জা রুমন

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন