আর্কাইভ থেকে এশিয়া

সাংবাদিকদের ওপর স্যানিটাইজার স্প্রে থাই প্রধানমন্ত্রীর

গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর জীবাণুনাশক স্প্রে ছড়িয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চান-ওঁচা। মঙ্গলবার নিয়মিত সংবাদ বিবৃতিতে মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ক্ষেপে যান তিনি। উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান এই সেনাপ্রধান। এরপর উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হাতে থাকা জীবাণুনাশক স্প্রে ছড়াতে থাকেন তিনি। রাজতন্ত্রের সংস্কার, সংবিধান পুনর্লিখন এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ঘিরে অনেকদিন ধরেই উত্তাল থাইল্যান্ড।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা। ঠিকঠাক শুরুও হয়েছিলো সবকিছু। তবে সাংবাদিকদের কড়া প্রশ্ন শোনে হতাশ হন তিনি। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে পোডিয়াম ছেড়ে নেমে আসেন। হাতে নেন সামনে থাকা স্যানিটাইজারের বোতল। খুলেন মুখের মাস্ক। এরপর সাংবাদিকদের দিকে স্যানিটাইজার স্প্রে করতে শুরু করেন থাই প্রধানমন্ত্রী।

তার এমন অসৌজন্য আচরণ দেখে বিস্মিত ও হতাবাক হয়ে যান উপস্থিত সাংবাদিকরা। এই পরিস্থিতির ভিডিও ধারণ করে গণমাধ্যমে প্রকাশ করে দেয় তারা।

কেন ক্ষেপে যান থাই প্রধানমন্ত্রী;

জানা যায়, মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে প্রশ্ন করেছিল সাংবাদিকরা। মূলত সাত বছর আগে বিক্ষোভ চলাকালে বিদ্রোহের জন্য সম্প্রতি তার তিন মন্ত্রীকে জেল দেওয়া হয়েছে। এতে মন্ত্রিপরিষদে কয়েকটি আসন শূন্য হয়। সেসব আসনে নিয়োগ পেতে পারে এমন কয়েকজনের একটি তালিকা পায় সাংবাদিকরা। ওই বিষয় নিয়েই প্রশ্ন করে তারা।

মন্ত্রিসভা নিয়ে এমন প্রশ্নে ক্ষিপ্ত ও হতাশ হন প্রায়ুথ চান-ওচা। এসময় পাল্টা প্রশ্ন করে তিনি বলেন, এছাড়া আর কোনো প্রশ্ন আছে কি-না। এই বিষয় আমি জানি না। এখনো এমন তালিকা আমি দেখতে পাইনি। বিষয়টা সবার আগে প্রধানমন্ত্রীর জানা উচিত।

এরপরই পোডিয়াম ছেড়ে সামনে চলে আসেন তিনি এবং মুখের মাস্ক খুলে সাংবাদিকদের দিকে স্যানিটাইজার স্প্রে করতে থাকেন। একপাশ থেকে শুরু করে অন্য পাশে স্প্রে শেষ করেন তিনি। এ সময় মুখ ঢাকে সাংবাদিকরা।

এর আগেও সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার রেকর্ড আছে থাই প্রধানমন্ত্রীর। একবার এক সাংবাদিকের কান মলে দিয়েছিলেন তিনি। ক্যামেরা পারসনের দিকে কলার খোসা ছুড়ে মারার রেকর্ডও আছে তার।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন