আর্কাইভ থেকে অপরাধ

টিপ পরায় কলেজ প্রভাষককে উত্ত্যক্ত

তেজগাঁও কলেজের প্রভাষককে ‘টিপ পর’ নিয়ে পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তি উত্ত্যক্ত করায় ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানায় অভিযোগ দায়েরের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শণাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায়।

অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, গেলো শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে উত্ত্যক্তের শিকার হন তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার। 

তিনি অভিযোগ করেছেন, হেঁটে কলেজের দিকে যাওয়ার সময় হুট করে পাশ থেকে পুলিশের পোশাক পরিহিত মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা একজন ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই বাজে গালি দেন তাকে। ঘটনার প্রতিবাদ জানালে একপর্যায়ে তার পায়ের ওপর দিয়েই বাইক চালিয়ে চলে যান সেই ব্যক্তি।’ পরবর্তীতে এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ড. লতা সমাদ্দার।

আজ রোববার (৩ এপ্রিল) শেরেবাংলানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় এনে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে। তবে এখন পর্যন্ত সেই ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

ভুক্তভোগী তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমদ্দার গণমাধ্যমকে বলেন, এখন পর্যন্ত পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারেনি। তার সঙ্গে যা ঘটেছে, তিনি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খুঁজে বের করা উচিৎ, যে ব্যক্তি পুলিশের ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় ছিল, তিনি কে। তিনি আশা করেন এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

এদিকে লতা সমদ্দারের দেয়া তথ্যে অভিযুক্তের মোটরসাইকেলের নম্বর দিয়ে খোঁজ করে বিআরটিএর ওয়েবসাইটে ২টি মোটরসাইকেলের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, একটি ঢাকা মেট্রো হ-১৩-৩৯৭০ ও অপরটি ঢাকা মেট্রো ল-১৩-৩৯৭০। তবে এরমধ্যে ঢাকা মেট্রো ল ১৩-৩৯৭০ মোটরসাইকেলটি বাজাজ ডিসকভার ১৩৫ সিসি। মালিকের নাম ইয়াবর আলী। ২০১৬ সালের গুলশান এলাকা থেকে গাড়িটি চুরি হয় এখন পর্যন্ত কোনো হদিস মেলেনি। থানায় এসে তিনি জিডির কপিও দেখিয়েছেন।

দ্বিতীয় মোটরসাইকেল, ঢাকা মেট্রো হ-১৩-৩৯৭০ নাম্বারের গাড়ির মালিকের নাম আরশাদ আলম। মিরপুর ১২ নম্বরে থাকতেন। সেই ঠিকানায় যোগাযোগ করে জানা গেছে, তিনি বাসা পরিবর্তন করেছেন। কিন্তু বাড়িওয়ালা তার আর কোনও তথ্য রাখেননি। তবে বাড়িওয়ালা নিশ্চিত করেছেন, আরশাদ চাকরিজীবী, তবে কোনও পুলিশ সদস্য নন।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন