সাদা পোশাকে রঙ লাগলো না
২২০ রানের ব্যবধানে হার বাংলাদেশের। তাতে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ডারবানে নতুন ইতিহাস লিখতে হলে পঞ্চম ও শেষে দিনে বাংলাদেশের দরকার ২৬৩ রান। বিপরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন আরো ৭ উইকেট। জয়ের পাল্লা অনেকটাই স্বাগতিকদের দিকে থাকলেও ব্যাটারদের লাইনআপের কেউ টিকে যেতে পারলে হয়তো জয়ের আশা জাগতে পারে।
কিন্তু সোমবার (০৪ এপ্রিল) মাঠে নামার সাথে সাথেই ব্যাটিং বিপর্যয় আরো একবার দৃশ্যমান হলো সফরকারী ব্যাটারদের। বিশেষে করে স্পিনার কেশব মাহারাজের ঘূর্ণিতে হিমশিম খেতে হলো মুশফিক-লিটনদের। ক্যারিয়ারের অষ্টমবার পাঁচ উইকেট প্রাপ্তি তার। আর উইকেটের অপর প্রান্তে শিমন হারমারও কম যাননি প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ে ধস নামাতে। তাতেই দলীয় ৫০ রানের আগে নেই ৮ উইকেট।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান করে নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে তাসকিন আহমেদের ব্যাট থেকে। ১৪ রান করেন তিনি। চার ব্যাটার ফেরেন শূণ্যতে। সাদমান ইসলাম,মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং খালেদ আহমেদের ব্যাটে কোনো রান পাইনি সফরকারীরা। শেষ ব্যাটার এবাদত হোসেন ৬ বল খেলে অপরাজিত থাকেন শূণ্যতে। তাহলে মোটা পাঁচজন কোনো রানই পাননি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে।
তবে স্পিনার কেশব মাহারাজের কথা না বললেই নয়। ৩২ রানের তার শিকার ৭ উইকেট। যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংও। তার আগের সেরা ছিলো ১২৯ রানের বিনিমিয়ে ৯ উইকেট প্রাপ্তি। দ্বিতীয় ইনিংসে মুমিনুল বাহিনীকে ধসিয়ে দিতে মোট দুই স্পিনারই যথেষ্ট হয়ে দাঁড়ায় ডিন এলগাড়ের। তাতেই বাজিমাত প্রোটিয়ারা। মাহারাজের সাথে জুটি গড়ে অন্য স্পিনার শিমন হারমার শিকার করেন বাকি তিন উইকেট। তাতেই ৫৩ রানে থামে ডোমিঙ্গো শিষ্যরা।
হাসিব মোহাম্মদ