ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ‘মিধিলি’
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি' এ পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ কারণে গেলো বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মেঘলা ছিল আকাশ। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ছিল বিভিন্ন অঞ্চলে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল ছিল সাগর। বর্তমানে আরও শক্তি সঞ্চয় করে নিম্নচাপটি ছোট আকারের ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি দেশের ১১ জেলায় আঘাত হানতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়া হয়েছে ‘মিধিলি’।
এদিকে ‘মিধিলি’ এর জন্য সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের দিকেই আসছে। পটুয়াখালীর খেপুপাড়া থেকে চট্টগ্রামের উপকূলের মাঝবরাবর এটি চলে যাবে। ভোলা জেলার দিকেই এর মূল অংশ যেতে পারে। এটি ছোট আকারের ঘূর্ণিঝড়। সর্বোচ্চ ১১ জেলায় এটি আঘাত হানতে পারে বলেই ধারনা করছি। তবুও এর মোকাবিলার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী আনন্দ কে দাস জানান, শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। এ ক্ষেত্রে ঝড়টি বাংলাদেশের মোংলা ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার মাঝ দিয়ে স্থলভাগে উঠে আসতে পারে।