আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

পাঠদান না হওয়ায় কলেজে ভাংচুর চালিয়েছে শিক্ষার্থীরা

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কলেজে ক্লাশ না হওয়ায়  বেঞ্চ ,চেয়ার ও টেবিল ভাংচুর করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে চরম উত্তোজনা বিরাজ করছে কলেজ ক্যাম্পাসে।

এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ায় মইনুল মোস্তফা কলেজে। কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদেরকে ভর্তি করে নেয়ার পর ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাশের ব্যবস্থা  না করায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । 

জানা গেছে  দু’দেশের ছিটমহল বিনিময় হলে সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশের অংশে শিক্ষানুরাগীরা কলেজটি দাছিয়ারছড়া কামালপুর এলাকায় সাবেক ছিটমহল নেতা মইনুল মোস্তফা নামে ২০১৫ সালে কলেজটি স্থাপন করেন ।

কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই প্রতিষ্ঠানে ২৭ জন শিক্ষক কর্মচারী  নিয়োগ দেন । পরবর্তীতে ২০২০ সালে মানবিক, বানিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগের পাঠদানের অনুমতি নিয়ে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করায় । প্রথম বর্ষে ৭২জন শিক্ষার্থী নিয়ে কলেজের যাত্রা শুরু হয়।পরে বছরে ৬৬জন শিক্ষার্র্থী ভর্তি হয় ওই কলেজে। পাশ্ববর্তী কলেজ গুলোতে নিয়মিত ক্লাশ হলেও এই কলেজে  দীর্ঘ দিন থেকে চলে না রুটিন অনুযায়ী ক্লাশ। বন্ধ থাকে কলেজের শিক্ষক ও অধ্যক্ষের কক্ষ । এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা  বুধবার সকাল  সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ হয়ে কলেজের  ৮/১০টি চেয়ার টেবিল বেঞ্চ  ভাংচুর চালায় শিক্ষার্থীরা। এতে যোগ দেন ওই এলাকার অভিভাবকরাও ।

ওই কলেজের শিক্ষার্থী  নাজমুল হাসান ও জীবন সরকার জানান , প্রতিদিন কলেজে আসা হয়  কিন্তু নিয়মিত ক্লাশ হয় না। বাধ্য হয়ে ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে  চেয়ার টেবিল ও বে  ভাংচুর করে । ছাত্রদের সাথে অনেক অভিভাবক যোগ দেন।

ওই এলাকার আমজাদ হোসেন ও বাবুল  জানান অনেক উৎসাহ নিয়ে ছিটমহলে একমাত্র কলেজটি স্থাপন করা হয়েছে । শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অনেক। কেন যে ক্লাশ হচ্ছে না, তা জানা নেই। 

এ বিষয়ে  মইনুল মোস্তফা কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা খান জানান , আকাশ খারাপ হওয়ায় হয়তোবা শিক্ষকরা উপিস্থত হতে না পারার কারণে এমনটি হতে পারে। আমি কলেজের কাজে ঢাকায় আছি। বৃহস্পতিবার থেকে নিয়মিত ক্লাশ করবে শিক্ষার্থীরা। 

এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা  মো: আব্দুল হাই রকেট ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,  তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

এসআই

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন