আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

দু’বছর পর লাঙ্গলবন্দে মহাষ্টমীর স্নানোৎসব অনুষ্ঠিত

গেলো দু’বছর করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকার পর এবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমী পুণ্য স্নানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

গেলো শুক্রবার (৮ এপ্রিল) রাত ৯টা ১১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডে স্নানের লগ্ন শুরু হয়ে আজ শনিবার (৯ এপ্রিল) রাত ১১টা ৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দ ব্রহ্মপুত্র নদে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

এ স্নানোৎসবে অংশ নিতে দেশ এবং দেশের বাহিরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পুণ্যার্থীরা লাঙ্গলবন্দে এসেছেন। তবে রাত থেকে এ উৎসব শুরু হলেও মূলত শনিবার সকাল থেকে প্রায় সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মহাষ্টমী পুণ্য স্নানোৎসবে অংশগ্রহণ করেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ‘হে মহাভাগ ব্রহ্মপুত্র হে লোহিত্য আমার পাপ হরণ কর’ এই মন্ত্র পাঠ করে ফুল, বেলপাতা, ধান, দুর্বা, হরিতকী, ডাব, আমপাতা নিয়ে স্নানে অংশ নিতে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পুণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে লাঙ্গলবন্দ এলাকায়। সড়কের দুই পাশে বসেছে অস্থায়ী মেলা।

এদিকে, স্নানোৎসবকে কেন্দ্র করে লাঙ্গলবন্দ এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। স্নানের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে নলিত মোহন সাধু ঘাট, অন্নপূর্ণা ঘাট, রাজঘাট, মাকরী সাধু ঘাট, গান্ধী (শ্মশান) ঘাট, ভদ্রেশ্বরী কালী ঘাট, জয়কালী মন্দির ঘাট, রক্ষাকালী মন্দির ঘাট, পাষাণ কালী মন্দির ঘাট, প্রেমতলা ঘাট, মণি ঋষিপাড়া ঘাট, ব্রহ্ম মন্দির ঘাট, দক্ষিণেশ্বরী ঘাট, পঞ্চপা-ব ঘাট ও পরেশ মহাত্মা আশ্রমসহ ১৬টি ঘাট।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম জানান, লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসবকে কেন্দ্র করে তিন স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সিসি ক্যামেরা দ্বারা সমস্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। পুলিশের স্পেশাল টিম, নৌ পুলিশ, র‌্যাব এবং হাইওয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া কোস্টগার্ড বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল ও ফায়ার সার্ভিস রাখা হয়েছে। জেলা পুলিশ অফিসার্স ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। সবমিলিয়ে নিশ্চিন্দ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

তাসনিয়া রহমান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন