আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

ব্রাজিলে করোনায় একবছরে একদিনে রেকর্ড মৃত্যু

করোনা মহামারি ঘোষণার এক বছরে একদিনে সর্বোচ্চ ও রেকর্ড মৃত্যু দেখেছে ব্রাজিল। গেল ২৪ ঘণ্টায় ল্যাটিন অ্যামেরিকার দেশটিতে মারা গেছে দুই হাজার সাড়ে তিন শ’ জন। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং সংক্রমণে তৃতীয় সর্বোচ্চ দেশটিতে এই প্রথম একদিনে মৃত্যু ছাড়াল দুই হাজার। বেড়েছে সংক্রমণও। গেল ২৪ ঘন্টায় প্রায় ৮১ হাজার জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে কোভিড-১৯। দেশটিতে একই দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, গেল বছর মে মাসে করোনার হটস্পট হয়ে উঠে ব্রাজিল। তখন মৃত্যু সংখ্যায় ইউরোপকে ছাড়িয়ে যায় দেশটি। গেলো এক বছরে মৃত্যুহারে ওঠা-নামা থাকলেও এখন মোট মৃত্যুর দিক থেকে ওপরে শুধু যুক্তরাষ্ট্র।

ব্রাজিলে কয়েক মাস ধরে নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসের বিস্তারে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে পড়েছে ব্যাপক চাপ। দেশটির ২৭ রাজ্যের ২৫টিতেই ৮০ ভাগের বেশি আইসিইউ বেড পূর্ণ।

ব্রাজিলে করোনায় মোট মৃত্যু দুই লাখ ৭১ হাজার। সংক্রমণের শিকার এক কোটি ১২ লাখের বেশি মানুষ।

ব্রাজিলের বিশেষজ্ঞরা বলছে, দেশে অতি মাত্রায় সংক্রমণযোগ্য নতুন ধরনের করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। পি১ নামক করোনার একটি ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে। এটি প্রথম ধরা পড়ে আমাজনঘেষা মানাউস শহরে।

বুধবার মহামারি নিয়ন্ত্রণে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জয়ের বলসোনারোর নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোকে স্টুপিড সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। মাস খানেকের মধ্যে গতকালই বলসোনারোকে মাস্ক পরতে দেখা গেছে।

ব্রাজিলে করোনার সংক্রমণের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে স্বাস্থ্য খাত ভেঙে পড়ার একেবারে দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। এরই মধ্যে সতর্ক করেছে সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ফিয়োক্রুজ।

ফিয়োক্রুজের একজন গবেষক ও চিকিৎস মার্গারেট ডালকলমো বলেছেন, মহামারি শুরু থেকে এ পর্যন্ত বর্তমানে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে ব্রাজিল। ২০২১ সাল খুবই কঠিন বছর হয়ে যাচ্ছে আমাদের।

ব্রাজিলের হাসপাতালগুলো এখন করোনা রোগীতে ঠাসা। দেশটির রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় আর কোনো আইসিইউ শয্যা খালি নেই। সাও পাওলো, রিও ডি জেনেরিওসহ ১৫টি অঙ্গরাজ্যের ৯০ ভাগ আইসিইউ শয্যায় করোনায় আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। এছাড়া পোর্ট অ্যালেগ্রে ও ক্যাম্পো গ্রান্দে অঙ্গরাজ্যে আইসিইউ শয্যার চেয়ে গুরুতর রোগীর সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন