অবরোধ-হরতালের কথা শুনে হনুমানও ভেংচি কাটে: তথ্যমন্ত্রী
মাঝখানে বিরতি দিয়ে দুইদিন পরপর বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ-হরতালের কথা শুনে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে। বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের জামালখান সড়কে ‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ’ শীর্ষক ম্যুরাল ও তথ্যচিত্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দেয়া অবরোধ কেউ মানছে না। রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া চলছে, অফিস আদালত খোলা। স্কুল-কলেজও খোলা। তারা কিছু কিছু জায়গায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষের মাঝে ভয় সঞ্চার করা ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি। মাঝখানে বিরতি দিয়ে দুইদিন পরপর তাদের এই অবরোধ-হরতালের কথা শুনে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়। কিন্তু আগুন সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়। বরং তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর। যারা এ সমস্ত কথা বলেন তাদের কাছে প্রশ্ন, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কি আলোচনা হয়? সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে হয়। বিএনপি-জামায়াত কিছু সৃষ্টি করতে পারে না। উল্টো তারা এখন গাড়ি-ঘোড়া পোড়াচ্ছে, মানুষের ওপর আগুন সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ওরা দেশটাকে ধ্বংস করতে চায়। বিএনপি-জামায়াত দেশ-জাতি, সমাজ ও জনগণের শত্রু। সুতরাং এদের সবার চিহ্নিত করে রাখা দরকার। এরা যতদিন এভাবে ফণা তুলবে ততদিন দেশ ও সমাজ হুমকির মুখে থাকবে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। তাদের অনুকরণে বিএনপি-জামায়াত পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। রাজনীতির নামে পেট্রোল বোমা দিয়ে আগুন সন্ত্রাস দুনিয়ার কোনো জায়গায় হয়নি। আমরা যখন পাকিস্তান কিংবা পশ্চিমাদের অধীনে ছিলাম তখনও প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে দিয়ে বহু মিছিল গেছে, এসেছে। এদেশের বায়ান্ন বছরের ইতিহাসে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবন কিংবা জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা হয়নি। যেটি বিএনপি-জামায়াত করেছে। সুতরাং এরা দেশ-জাতি এবং সমাজের শত্রু। এরা হায়েনা ও জানোয়ারের চেয়েও হিংস্র। সুতরাং এই জানোয়ারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, আজকে বাচ্চারা নির্ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। এর মধ্যে একটি স্কুল ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। এই বাচ্চারা কী অপরাধ করেছে ? আমাদের সরকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে, পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকেও করা হয়েছে, কেউ আগুন সন্ত্রাস চালালে কিংবা কেউ চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে এরকম জানতে পারলেও তাদের ধরিয়ে দেবেন। তাহলে এদেরকে নির্মূল করা সম্ভব হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য গেলো ১৪ জুন বিএনপি-জামায়াতের মিছিল থেকে এখানে থাকা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যের চিত্রগুলো ভাঙচুর করা হয়। তারা ভাঙচুর করে শুধু ক্ষান্ত হয়নি, ভাঙচুর করার সময় তারা উল্লাসও করেছে। অর্থাৎ এগুলো ধ্বংস করে তারা উল্লসিত হয়েছে। আজকে আবার সেগুলোকে নতুন আঙ্গিকে স্থাপন করা হয়েছে।