আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

ধুনটে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সমাবেশ ঘিরে ১৪৪ ধারা

বগুড়ার ধুনট উপজেলা শহরের মুজিব চত্বর এলাকায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সমাবেশ ঘিরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

সহিংসতার আশংকা দেখা দেওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ধুনট পৌরসভার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও মুজিব মঞ্চ এবং আশপাশের ৪০০ গজ এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের সভা ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত। বুধবার মধ্যরাতে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সমাবেশ ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। এটা ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ বলে এলাকাবাসীর ধারণা। তবে পুলিশ বলতে পারেনি কিসের শব্দ হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ধুনটে আধিপত্য বিস্তার ও পৌর নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। একপক্ষে বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের অনুসারীরা এবং অন্যপক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ টিআইএম নুরুন্নবী তারিক ও তার লোকজন। এ নিয়ে তারিক প্রতিপক্ষের ৮-৯ জন নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করেন।

এ সব ঘটনায় থানায় পাল্টিপাল্টি মামলা হয়েছে। সব নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। মামলার প্রতিবাদে তারিক গ্রুপের উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ স্বপন বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশ আহবান করেন। অপরদিকে এমপি গ্রুপের পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রাসেল খন্দকার একই সময় ও স্থানে পাল্টা সমাবেশের ডাক দেন। তারা যেকোনো মূল্যে শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশ সফল করার ঘোষণা দেয়।

ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় জনগণ বললেও তারা ককটেল বিস্ফোরণের কোনো আলামত দেখতে পাননি।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত জানান, ছাত্রলীগের দু’পক্ষ শহীদ মিনার চত্বরে একই সময়ে সমাবেশ আহবান করে। এতে সহিংসার আশংকায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ ও মুজিব মঞ্চ এবং আশপাশের ৪০০ গজ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

এ সময় ওই এলাকায় সবধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। এ প্রসঙ্গে দু’পক্ষের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শেখ সোহান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন