নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের তৎপরতা কম, কী বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী?
‘আমাদের সেই ক্ষমতা নেই।আমাদের বন্ধু দেশ যারা তারা অনেক সময় আমাদের উপদেশ দেয়, যেটা ভালো সেটা গ্রহণ করি। অন্যের যদি ভালো উপদেশ থাকে সহায়ক নির্বাচনের জন্য,আমরা এটাকে স্বাগত জানাই। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেক দিন ধরে বলছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা।সম্প্রতি তারা বলছে,সংঘাতমুক্ত, আমরাও চাই। কিন্তু সেটা আমরা একা পারব না।’
সোমবার (২৭ নভেম্বর)পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের চুপ থাকতে বাধ্য করল কি না’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুপার পাওয়ার।আমরা তাদের প্রত্যাখ্যান করতে পারি না।আমরা করিও না।আমাদের কোনো উদ্দেশ্যও নেই।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশ (যুক্তরাষ্ট্র),তাদেরতো আমরা কখনো অগ্রাহ্য করতে পারি না। আমরা তো এজন্য তাদের পরামর্শকে অত্যন্ত গুরত্বসহকারে গ্রহণ করি। তবে আমাদের দেশের একটা বাস্তবতা আছে। বাস্তবতার নিরিখে তারা যদি কোনো প্রস্তাব দেয়… আমরা তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখি।’
সরকারের ও যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া একই উল্লেখ করে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমেরিকা কিন্তু বেশি কিছু চায় না। তারা চায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরাও চাই। তারা আমাদের সাহায্য করছে। আমরা নিজেরা একটা সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন চাই। আমরা যদি এটা করি, আমেরিকা আমাদের সঙ্গে থাকবে। তারা আমাদের বন্ধু দেশ।শুধু নির্বাচন নয়, তাদের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন রকম সম্পর্ক আছে।আমেরিকা সবসময় বাস্তববাদী।’
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) বলব, যারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে, তাদের তারা ভিসা পলিসির মধ্যে ঢুকাক। তারা তাদের যা করার করুক– নির্বাচনে যারা বাধা দেবে। আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নষ্ট করতে চাই না। আমেরিকা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আমরা তাদের সঙ্গে আছি, তারা আমাদের সঙ্গে আছে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়-এনিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন,‘জনগণের যদি সম্পৃক্ততা থাকে, জনগণ যদি ভোট দেয় তাহলে সেটা অংশগ্রহণমূলক। আমাদের প্রায় নির্বাচনে শতকরা ৫০ ভাগ লোক ভোট দেয়। আমেরিকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সবসময় নির্বাচন হয়। সিনেটর কেনেডি, সিনেটর জন কেরি তাদের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ায় না। সম্মানিত লোকের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ায় না।’
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের তৎপরতা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাইব না, বিদেশিরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক।তবে সহায়কের ভূমিকা পালন করলে স্বাগত জানাব। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই, এখানে যদি কেউ সহায়তা করতে চায়, স্বাগত জানাব। কিন্তু আমরা মাতব্বরি করতে দেব না। যারা মাতব্বরি করবে, তাদের আমরা সহ্য করতে পারি না।’