আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

পাহাড় সেজেছে বৈসাবি উৎসবে

পাহাড় সেজেছে বৈসাবি উৎসবে। পানিতে ফুল ভাসিয়ে পুরনো বছরের দুঃখ বেদনাই যেনও ভাসিয়ে দিয়ে নতুন দিনের সম্ভাবনার আলো জ্বালায় পাহাড়ের মানুষ। 

আজ মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকালে কাপ্তাই হ্রদের জলে ফুল ভাসানোর মধ্যে দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শুরু হয়েছে পাহাড়ের অধিবাসীদের প্রধান উৎসব বৈসাবি। শুরু হওয়া এই উৎসব ১৬ এপ্রিল মারমা সম্প্রদায়ের জলকেলি’র মাধ্যমে শেষ হবে পাহাড়ের বৈসাবির আনুষ্ঠানিকতা। করোনার কারনে দুই বছর পর এবার বেশ আনন্দমুখর ভাবে বৈ-সা-বি ও বাংলা নববর্ষকে পালন করা হচ্ছে।

চাকমা, মারমা, ত্রিপুর, তংচঙ্গ্য আর অহমিয়া  সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈ-সা-বি ও বাংলা নববর্ষকে ঘিরে তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এখন উৎসবের নগরীতে পরিণত। 

বাংলা বর্ষের বিদায় ও বরণ উপলক্ষে চাকমারা বিজু, ত্রিপুরা বৈসুক, মারমারা সংগ্রাই, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু ও অহমিয়ারা বিহু এভাবে তারা ভিন্ন ভিন্ন নামে আলাদাভাবে পালন করে এই উৎসব। উৎসবের প্রথম দিনে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীরা ফুল আর নিমপাতা দিয়ে ঘর সাজায়। বুধবার মূল বিজু। এদিন পাহাড়িদের ঘরে ঘরে চলবে পাঁচন আতিথেয়তা।

প্রথম দিনে নদীতে ফুল ভাসানো, বয়স্কস্নান, বস্ত্রদান ও গড়াইয়া ও কাথারক নৃত্যের মাধ্যমে উৎসবটির সূচনা করা হয়েছে। রাঙ্গামাটি শহরের গর্জনতলীতে ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গনে আয়োজিত এ উৎসবে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অং শৈ প্রু চৌধুরী। বৈসুতে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ অংশ নেয়।

নদীর ঘাটে গিয়ে গঙ্গা বা জলদেবীর উদ্দেশ্যে ফুল দিয়ে পূজা করা, সকলে মিলে বুদ্ধ মূর্তিকে স্নান করানো, নদী থেকে পানি এনে বুড়া/বুড়িদের গোসল করিয়ে যুবক/যুবতীরা আর্শিবাদ গ্রহণ করে।

রাতে প্রদীপ পূজা, ঘরের আঙ্গিনায়, গোয়াল, ঢেঁকি ঘরে, নদী বা কুয়ার পাড়ে সাড়ি সাড়ি প্রদীপ জ্বালিয়ে সমস্ত গ্রামকে উৎসবের আলোতে উদ্ভাষিত করে রাখা হয়।

তাসনিয়া রহমান

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন