আর্কাইভ থেকে আন্তর্জাতিক

শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ১৩

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আবারও শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে চালানো হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) ফিলিস্তিন সংবাদ সংস্থা ওয়াফা নিউজ এজেন্সি’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য গাজা উপত্যকার এ শরণার্থী শিবিরে একাধিক বাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়েছে। হামলায় শিশু ও নারীসহ অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেক। নিহতদের মরদেহ গাজার মধ্যপ্রদেশের আল-আওদা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে আরও অনেকে।

ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। নিহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। হামাসের হামলায় ১২০০ ইসরায়েলির নিহত হয়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। দখলদার ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নারী ও শিশুসহ ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন।

হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয় দখলদার ইসরায়েল। টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দেয়।

প্রায় দেড় মাস সংঘাতের পর গেলো ২৪ নভেম্বর চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। এ যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দুই দফায় বাড়ানো হয় সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ। যুদ্ধবিরতি চলাকালে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢোকে উপত্যকায়।

যুদ্ধবিরতি সাত দিনে হামাসের হাতে বন্দি ১১০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ইসরায়েলে বন্দি ২৪০ জন ফিলিস্তিনিকেও মুক্তি দেয়া হয়।

নতুন করে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর আগেই গেলো শুক্রবার থেকে গাজায় ফের হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন