আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

রাশিয়ার দখলে মারিউপোল

ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপোল দখলে নেয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। গেলো শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক বিবৃতিতে পুরো মারিউপোল দখল করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়।

আজ রোববার (১৭ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার দেয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত জানা যায়।

শনিবারেই  ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এতে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হতাহতের খবরও পাওয়া গেছে।

কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মারিউপোল শহর ‘পুরোপুরি’ দখলে নেয়ার বিষয়ে রাশিয়ার করা দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে আসলেই শহরটি মস্কোর দখলে চলে গেলে তা হবে গেলো ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণ শুরুর পর রুশ সামরিক বাহিনীর হাতে পতন হওয়া ইউক্রেনের প্রথম বড় কোনো শহর।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগোর কোনাশেঙ্কোভ বলেন, মারিউপোলের পুরো শহুরে এলাকাটি সম্পূর্ণরূপে দখলে নেয়া হয়েছে। ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের অবশিষ্ট একটি অংশ বর্তমানে আজভস্টাল ইস্পাত কারখানায় সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।

ইউক্রেনীয় এই যোদ্ধাদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইগোর কোনাশেঙ্কোভ বলেন, আটকে পড়া ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের জীবন বাঁচানোর একমাত্র সুযোগ হলো স্বেচ্ছায় অস্ত্র ফেলে দেয়া এবং আত্মসমর্পণ করা।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্র আরও বলেন, মারিউপোলকে স্বাধীন করার অভিযানে ইতোমধ্যেই এক হাজার ৪৬৪ জন ইউক্রেনীয় সেনা আত্মসমর্পণ করেছে।

এদিকে রুশ বার্তাসংস্থা তাস জানিয়েছে, মারিউপোলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের আত্মসমর্পণের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মস্কোর স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৬টা থেকে (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা) যেসব ইউক্রেনীয় যোদ্ধা তাদের অস্ত্র সমর্পণ করবে তাদের জীবন রক্ষা করা হবে।

তাসনিয়া রহমান

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন