দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত হলো সামরিক ড্রোন
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত হল সামরিক ড্রোন। তুরস্ক থেকে কেনা ৬টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বায়াক্টার টিবি টু আনম্যান কমব্যাট এরিয়েল ভেহিকেল যুক্ত হল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বহরে। নজরদারির পাশাপাশি দূরবর্তী শত্রুর ওপর শতভাগ সফল আক্রমণ করতে সক্ষম এই ড্রোন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ(আইএসপিআর) সূত্র জানায়, সোমবার (৪ ডিসেম্বর) চট্রগ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এভিয়েশন উইংয়ের ফরোয়ার্ড বেইজে ড্রোনগুলোর উদ্বোধন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
ছবি: আইএসপিআর
আর্মি অ্যাভিয়েশনের গ্রুপ কমান্ডার মেজর জেনারেল বারী জানান, তুরস্কের বিমান বাহিনীর জন্য প্রথম পর্যায়ে এই ড্রোনটি ২০১৪ সালে তৈরি করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর ১৪ টি দেশ এই ড্রোন ব্যবহার করছে। সিরিয়া, আর্মেনিয়া আজারবাইজান এবং ইউক্রেন যুদ্ধেও এই ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এই ড্রোনটিতে অস্ত্র হিসেবে ৪ টি লেজার গাইডেড মিসাইল অথবা ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট ব্যবহার করা যায়। সর্বোচ্চ ২২২ কিঃমিঃ গতিতে, ভূমি থেকে ২৭ হাজার ফুট উচুতে এক নাগাড়ে ২৭ ঘন্টা পর্যন্ত উড়তে সক্ষম এই ড্রোন। জ্বালানী হিসেবে এতে পেট্রোল ব্যবহার করা যায়।
ছবি: আইএসপিআর
সেনাপ্রধান জানান, বেইজ স্টেশন থেকে ৩০০ কিঃমিঃ দূর পর্যন্ত এটি পরিচালনা করা যায়।এতে সেন্সর থাকায়, জিপিএস এর উপর পুরোপুরি নির্ভর না করেও নেভিগেশন করা যায়।ফলে সশরীরে হাজির না হয়েও আরো দূর পর্যন্ত এখন টার্গেট করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে কেবল আমদানি নির্ভর নয়।বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিজের প্রযুক্তিতেই এসব ড্রোন উৎপাদন করবে।
প্রসঙ্গত, ড্রোনগুলো কিনতে ২০২২ সালে তুরস্কের সাথে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ।২০১৪ সালে উদ্ভাবিত এই ড্রোনের দ্বিতীয় ভার্শন ব্যবহার করছে বাংলাদেশ