নির্বাচন প্রতিহতকারীদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আসবে : তথ্যমন্ত্রী
আশা করি, যারা বাংলাদেশে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে এবং নির্বাচনকে প্রতিহত করার অপচেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে। এছাড়া গাজায় পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার করা হচ্ছে। হায়েনার হিংস্রতাকে ম্লান করে দিয়ে ইসরাইলি বাহিনী যেভাবে মানুষ হত্যা করছে, সেটার বিরুদ্ধে অ্যামেনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল এখন কোথায়, এটা আমরা জানতে চাই। বললেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘এনএএন টিভি’ নামে অনলাইন নিউজ পোর্টালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা সময়ে সময়ে জাতিকে বুদ্ধি দেয় তারা এখন কোথায়? কাউকে ঘুষি মারলেও তারা বিবৃতি দেয়। বরিশালে একজনকে ঘুষি মেরেছে তাতেও বিবৃতি দিয়েছে, গুলশানে একজনকে ধাওয়া করেছে তাতেও বিবৃতি দিয়েছে। তারা এখন কোথায়? এখন যে মানুষ পুড়িয়ে মারছে, ওনারা কোথায় হারিয়ে গেলেন? জনগণ তাদের খুঁজছে। ওনাদের বুদ্ধি কি এখন লোপ পেয়েছে? নাকি তারা বুদ্ধি করে চুপ করে আছেন। গত ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের পেটানোর ঘটনায় ওনারা কোনও বিবৃতি দেননি। শুধু বাংলাদেশে না, কিছু কিছু আন্তর্জাতিক বিবৃতিজীবীও আছে। এখন ওনারা কোথায়?’
বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যা করা হচ্ছে— চোরাগোপ্তা হামলা, পেট্রোল বোমা মারা, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা, এগুলো কোনও রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। গত ২৮ তারিখ যেভাবে পিটিয়ে পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে, বর্বরভাবে সাংবাদিককে পেটানো হয়েছে। সাপ পেটানোর সময় মানুষ এ রকম করে কিনা সন্দেহ আছে। গণমাধ্যমের সবাই যদি এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন, তাহলে এ কাজ তারা করতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে যত ধরনের হানাহানি সৃষ্টি হয়েছে, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে— সবগুলোর পেছনে ভুয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দায়ী। এসব ব্যাপারে আমাদের এক্সট্রা কেয়ারফুল হতে হবে। না হলে এ ধরনের ঘটনা বার বার ঘটবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এসব আমরা মোকাবিলা করেছি এবং যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল, তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’
এএম/