নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৯ নেতাকর্মীর
রাজধানীর শাহজাহানপুর ও গুলশান থানায় করা নাশকতার পৃথক দুই মামলায় বিএনপির ২৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় ৪৫ জনকে খালাসও দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের দণ্ডবিধির ১৪৮ ও ৩৪ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দণ্ডবিধির ৪২৭ ও ৩৪ ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আসামিদের ২ বছর করে সাজা ভোগ করলেই চলবে বলেও রায়ে বলেছেন আদালত।
শাহজাহানপুর থানার মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, মো. ভাসানী চাকলাদার, মো. মহসীন, মো. হানিফ হোসেন বাবু, মো. বেলাল উদ্দিন, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম মজনু, মো. তারিকুল ইসলাম জিকির, মো. বাতেন, কাজী মো. জামাল, ইমরান খান ইমন, মো. সোহাগ ভূঁইয়া, আ. সালাম খান, আরিফুর রহমান সুজন, শেখ শহিদুল্লাহ টিপু, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. আব্দুল্লাহ জামাল চৌধুরী আদিত্য, মো. সেলিম, আহমেদ ও হুমায়ূন কবির নাহিদ।
অন্যদিকে খালাসপ্রাপ্ত ৪৪ আসার মধ্যে আবুল হোসেন ওরফে লিলু, মো. শফিউল বারী বাবু ও মো. শামসুর রহমান হুমায়ূন মামলা চলাকালীন মৃত্যুবরণ করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে নাশকতার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে। পরবর্তী সময়ে পুলিশ তদন্ত শেষে ৬৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এদিকে গুলশান থানার আরেক মামলায় বিএনপির নয় নেতাকর্মীকে পৃথক দুই ধারায় দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এ কারাদণ্ড দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মেহেদী বাপ্পী, মাইনুল হাসান প্রকাশ মিশু, শরিফুল, জাকির হোসেন, মজিবুর রহমান প্রকাশ মজি, মামুন চৌধুরী, রুবেল হোসেন, আতিকুর রহমান, বিল্লাল হোসেন।
এএম/