আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

একজন মানুষও যেনো আহত না হয় সে চেষ্টাই করে পুলিশ

যে কোনো পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রথমত নিবৃত করার চেষ্টা করে। দুই পক্ষকে নিয়েই আলোচনার চেষ্টা হয়। একটি মানুষ নিহত তো দূরে আহত যেনো না হয় সে চেষ্টাই করে পুলিশ। কিন্তু গতকাল অনাকাঙ্খিতভাবে এক কুরিয়াস সার্ভিস কর্মী নিহত হয়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন। বললেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।

আজ বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

হাফিজ আক্তার বলেন, ঢাকা কলেজ ঐতিহ্যের শিক্ষপ্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান থেকে যারা বের হয়েছেন তাদের অনেকে ভালো অবস্থানে আছেন। করোনার কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সামনে ঈদ। ব্যবসায়ীদের গুরুত্বপূর্ণ সময়।

তিনি বলেন, নিউ মার্কেটের শ্রমিক-ব্যবসায়ী ও ছাত্রদের মধ্যে অনাকাঙ্খিত ঘটনার জেরে সংঘাত হয়, মারামারি হয়। প্রচুর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, উভয়পক্ষকে নিয়েই পুলিশ শুরু থেকেই সমঝোতার চেষ্টা চালিয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে পুলিশের সমঝোতা ছাড়া উপায়ও থাকে না। দ্বিতীয়ত, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উভয়পক্ষকেই সরে যেতে বলেছি। তৃতীয়ত, নন লেথাল উইপেন ব্যবহার করা। পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে। পুলিশ সেটাই কাল করেছে। তবে এতো কিছুতে পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক করা সম্ভব না হয় তখন পুলিশ কঠোর ডিসিশনে যায়।

হাফিজ আক্তার বলেন, ব্যবসায়ী-ছাত্রদের মধ্যকার সংঘাতের প্রথম রাতে কোনো পরিস্থিতিতে এডিসি ধাপ্পড় মারা ও গুলি শেষ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। আপাতত পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাতেই মনোযোগী।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন