রিহ্যাবে পাঠানো হলো আদম তমিজীকে
গ্রেপ্তারের পর মানসিক চিকিৎসার জন্য পুলিশের তত্ত্বাবধানে গুলশানের একটি রিহ্যাব সেন্টারে পাঠানো হয়েছে হক গ্রুপের চেয়ারম্যান আদম তমিজী হককে। রোববার (১০ ডিসেম্বর) তাকে রিহ্যাব সেন্টারে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আদম তমিজী হককে মানসিক চিকিৎসার জন্য রিহ্যাব সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। রিহ্যাব সেন্টারেও পুলিশের তত্ত্বাবধানেই থাকবেন তিনি।
এর আগে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় আদম তমিজীকে। পরে নেওয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে।
আদম তমিজী হকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়ায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা রয়েছে। আনিছুর রহমান নাঈম নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় এ মামলাটি করেন।
গেলো ১৩ নভেম্বর এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে রাত ১১টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন আদম তমিজী। সে সময় তিনি ফেসবুকের এক পোস্টে হক গ্রুপ এবং শ্রমিক-কর্মীদের রক্ষায় দেশে ফিরেছেন বলে জানান।
পরে ১৫ নভেম্বর তার গুলশানের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। সে সময় র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তমিজীর বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। সম্প্রতি রাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য ও সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়ান আরাফির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগও রয়েছে আলোচিত এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।
গেলো সেপ্টেম্বরে তমিজী হক ফেসবুকে ঘোষণা দেন, গাজীপুরের একজন প্রতিমন্ত্রী তার ব্যবসা বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা করছেন। তাকে তার ব্যবসার সুরক্ষার জন্য বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে বাধ্য করছেন। তারপরে তিনি ফেসবুক লাইভে তার পাসপোর্ট পুড়িয়ে দেন।
এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন তমিজী। পরে তাকে তার দলীয় পদ থেকে দ্রুত অব্যাহতি দেয়া হয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ তাকে বরখাস্ত করে।