আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

পুলিশি হেফাজতে এক আসামির মৃত্যু

লক্ষ্মীপুরে পুলিশি হেফাজতে আব্দুল কুদ্দুছ নামে পরোয়ানাভূক্ত এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। গেলো বুধবার (২০ এপ্রিল) রাত পৌনে ১১টার দিকে মারা যান গ্রেপ্তারকৃত ওই আসামি।

এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌর শহরের বাঞ্চানগর এলাকার হাসেম মঞ্জিলের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ।

পুলিশ ও চিকিৎসকরা বলছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে তিনি। পরিবার ও এলাকাবাসী বলছেন গ্রেপ্তারের ৩ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে তার। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত কুদ্দুছ সদর উপজেলার রাধাপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ চৌধুরীর ছেলে ও কসমিক ফার্মাসিটিকেলসের এরিয়া ম্যানেজার এবং মিনহাজ মেডিকেল (ফার্মেসি) এর মালিক। তার বিরুদ্ধে ঢাকার ওয়ারী থানায় চেক ডিজওনার (এন আই এ্যাক্ট) মামলায় পরোয়ানা ছিল।

জানা যায়, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিআর ১৪/২০ মামলার (চেক ডিজওনার) পরোয়ানাভুক্ত আসামি আব্দুল কুদ্দুছকে সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুরের নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ। পরে থানা হেফাজতে নেয়ার পর তার বুকে ব্যথা অনুভব হয়। রাত ১০টার দিকে তাকে সদর হাসপাতালে নিলে পৌনে ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এসময় সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল মিমতানুর রহমান ও সদর থানার ওসি জসীম উদ্দিনসহ অনেক পুলিশ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল কাশেম আজাদ জানান, রোগী বুকে ব্যথা অনুভবসহ বমি করছিলো। সঙ্গে প্রচণ্ড ঘামাচ্ছিল, ধারণা করা হচ্ছে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন।

সহকারী পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান জানান, আসামি অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর তিনি মারা যান। ঘটনার তদন্ত চলছে, পুলিশি নির্যাতনে মারা গেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তাসনিয়া রহমান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন