আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ইলিয়াস আলী প্রসঙ্গে র‍্যাবকে নিয়ে সংবাদ ভিত্তিহীন

সুইডেন থেকে নেত্র নিউজে প্রকাশিত বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী প্রসঙ্গে ইলিয়াস আলীর গুমের সঙ্গে র‌্যাবের কর্মকর্তারা জড়িত’সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের মুখপাত্র এ মন্তব্য করেন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, নেত্র নিউজে র‍্যাবকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে যখন থেকে পাওয়া যাচ্ছে না, তখন থেকেই তার স্ত্রী যখন আমাদের কাছে এসেছেন আমরা সর্বোচ্চ আইনি সহযোগিতা করেছি। তিনি যেখানে যেখানে তার স্বামী অবস্থান করতে পারেন, এমন সন্দেহ পোষণ করেছেন বা তিনি যে তথ্য দিয়েছেন তার সহযোগিতায় আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। এখনো সহযোগিতা করে যাচ্ছি। এ বিষয়ে আমদের যদি কেউ তথ্য দেন আমরা কিন্তু যাচ্ছি ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করতে। এটা কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব।

র‍্যাবের অভিযান আইন মেনে করা হয় জানিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রকাশিত সংবাদটিতে যেসব তথ্য-উপাত্ত প্রচারিত হয়েছে তা সবই ভিত্তিহীন। এটাই আমাদের বক্তব্য। কারণ তারা যেভাবে তথ্য উপাত্ত দেখিয়েছে বিষয়টি আসলে সঠিক না।

এদিকে ২০ এপ্রিল মধ্যরাতে মানিকগঞ্জে র‍্যাবের উপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাভার থেকে মানিকগঞ্জের উদ্দেশ্যে র‍্যাবের একটি মাইক্রোবাস যাচ্ছিল। পথে র‍্যাবের গাড়ির ওপর অতর্কিত গুলি চালানো হয়। র‍্যাব-৪ একটি অভিযানে যাচ্ছিল। মূলত গাড়িটিকে থামানোর উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়। এতে গাড়িটিতে বেশ কয়েকটি গুলি লেগেছে।

তিনি বলেন, এরপরই পেছনে থাকা আমাদের টহল টিমের সঙ্গে হামলাকারীদের সঙ্গে গুলিবিনিময় হয়। ঘটনার পরপরই আমাদের ফরেনসিক টিম গিয়ে কাজ শুরু করে। আরেকটি দল অস্ত্রের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সেখানে একজনকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়।

আহতের নাম মো. কাওসার বলে জানা যায়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে হাসপাতালে মারা যায়। পরে র‍্যাব জানতে পারে আহত কাওসার আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যাসহ ১২টিরও বেশি ডাকাতি মামলা রয়েছে।
 
এ ছাড়াও খন্দকার আল মঈন বলেন , মাদকবিরোধীসহ বিভিন্ন অভিযানে র‍্যাবের ওপর হামলা হয়েছে। এই সব হামলায় র‍্যাবের ২৯ জন সদস্য শহীদ হয়েছেন, প্রায় এক হাজারের বেশি সদস্য আহত হয়েছেন। বিভিন্ন অভিযানে সন্ত্রাসীদের হামলা থাকবেই, এটা মেনে নিয়ে আমরা কাজ করছি।

 

এসআই/

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন