আর্কাইভ থেকে এশিয়া

১৫ জন সংসদ সদস্য বরখাস্ত

নিরাপত্তাভঙ্গের পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে শাস্তির মুখে বিরোধী সংসদ সদস্যরা। ভারতের লোকসভা থেকে ১৫ জন সংসদ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সংসদে অসাংবিধানিক আচরণ এবং সভার কাজে বাধা দেয়ার জন্য তাদের এই শাস্তি দিয়েছেন স্পিকার।

বুধবার লোকসভার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে বুধবার গ্যালারি থেকে চেম্বারে ঢুকে পড়েন দুই যুবক। তাদের সঙ্গে ছিল রংবোমা। হলুদ রঙের ধোঁয়া তারা সভাকক্ষের চারদিকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। দু’জনকেই ধরে ফেলেন সাংসদেরা। তার পর তাদের তুলে দেয়ার হয় নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে। সংসদের বাইরে থেকে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবারও এই ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদের দুই কক্ষ। নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় আলোচনার দাবি করে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন বিরোধীরা। তাদের দাবি ছিল, এদিনের গোটা অধিবেশনেই নিরাপত্তা লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা হোক। কিন্তু লোকসভা বা রাজ্যসভা কোনও হাউসেই এই দাবি মানা হয়নি। উল্টো ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য প্রথমে রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে রখাস্ত করা হয়।

লোকসভাতেও ওই একই পদক্ষেপ করা হয়েছে একাধিক সাংসদের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে বরখাস্ত হয়েছেন মোট ১৫ জন বিরোধী সাংসদ। তাদের মধ্যে ৯ জন কংগ্রেসের, দুজন সিপিএমের, দুজন ডিএমকের তৃণমূলের একজন এবং একজন সিপিআইয়ের। বরখাস্ত হওয়া সাংসদদের উল্লেখযোগ্য হলেন, মানিকম ঠাকুর, কানিমোঝি, ডিন কুরিয়াকোসে, হিবি ইডেন, জোথিমানি, রাম্যা হরিদাস এবং টি এম প্রাথপন। শীতকালীন অধিবেশনে আর অংশ নিতে পারবেন না এই ১৫ সাংসদ।

বৃহস্পতিবার লোকসভা এবং রাজ্যসভাতে সংসদের নিরাপত্তার প্রশ্নে সরব হন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সদস্যেরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করে ওয়েলে নেমে স্লোগান তোলেন তারা। শাহের পদত্যাগও দাবি করা হয়।

কী ভাবে নতুন সংসদ ভবনের আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে লোকসভার কক্ষে ঢুকল রংবোমা? সেই প্রশ্নে তোলপাড় গোটা দেশ। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার বিষয়ে আলোচনাতেও উত্তপ্ত হয়ে পড়ে সংসদের উভয়কক্ষ। হট্টগোলের মাঝে লোকসভার অধিবেশন বিকেল ৩টে পর্যন্ত মুলতুবি করা হয়। বুধবারের ঘটনার পর সংসদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।

লোকসভার সাংসদদের বিরুদ্ধে অনিয়ন্ত্রিত আচরণের অভিযোগ তোলেন খোদ স্পিকার ওম বিড়লা। তার পরই তাদের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করান সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। স্বাভাবিকভাবেই এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন