আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

কলাবাগানে মাঠ ইস্যু: ১৩ ঘণ্টা পর মুক্ত ছেলেসহ মা

কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষা আন্দোলনকারী সৈয়দা রত্না ও তার ছেলেকে দিনভর আটকে রেখে মধ্যরাতে মুক্ত করেছে পুলিশ। গেলো রোববার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন কলাবাগান থানার এসআই অর্জুন রায়।

এর আগে, সকালে রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে থানার ভবন নির্মাণের ঘটনার প্রতিবাদ করে ফেসবুক লাইভ করায় সৈয়দা রত্না ও তার ছেলে পিয়াংশুকে আটক করা হয়। এর ১৩ ঘণ্টা পর তারা ছাড়া পেলেন।

সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচীর সদস্য রত্না তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। ওই মাঠ বরাদ্দ নিয়ে কলাবাগান থানার নতুন ভবন করা হচ্ছে।

রত্নাকে আটকে রাখলেও তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেনি পুলিশ; যদিও আটকানোর সময় পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের সরকারী কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান।

রত্নাকে আটকের পর অধিকারকর্মীরা প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। খুশি কবিরসহ অনেকে সেখানে ছুটেও যান। উদীচীসহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা কলাবাগান থানার সামনেও অবস্থান নিয়েছিলেন।
মাঠটিতে কলবাগান থানা ভবন করার ঘোষণা দেয়ার পর রত্নার নেতৃত্বে স্থানীয় একদল ওই মাঠটি রক্ষার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

পুলিশ এর আগে সেখানে নির্মাণকাজ শুরু করতে গেলে স্থানীয়দের বিশেষ করে নারীদের বিরোধিতার মুখে পড়ে। এরপর ওই মাঠ ঘিরে পুলিশ কাঁটাতারের বেড়া দিলেও রত্না তার বিরোধিতা করে যাচ্ছিলেন।
গতকাল পুলিশ ওই মাঠে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ শুরু করলে রত্না তার ছেলেকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। ফেইসবুকে তা লাইভ করার একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ধরে থানায় নিয়ে যায়।

রত্নাকে আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান অধিকারকর্মী খুশি কবির, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বেলার সংগঠক আলমগীর কবির, আইন ও সালিশকেন্দ্রের আবু আহমেদ ফয়জুল কবিরসহ উদীচীর নেতাকর্মীরা।

এলাকাবাসীও জড়ো হন সেখানে। তাদের একজন শামীম আরা বলেন, তারা স্বাধীনতার আগে থেকে এই জায়গাটি খোলা মাঠ হিসেবে দেখে আসছেন। এরশাদ আমলে একবার দখলের চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু এলাকাবাসী প্রতিরোধ করেছিল।

তাসনিয়া রহমান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন