বসুরহাটে সংঘর্ষ: সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল কারাগারে
নাশকতার এক মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ শুক্রবার (১২ মার্চ) দুপুর ১টায় নোয়াখালী জুডিশিয়াল কোর্টের বিচারক সোয়েব উদ্দিন খাঁন একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এছাড়া আরও তিনটি মামলায় তার জামিন আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা জানান, গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান বাদলকে চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
নোয়াখালী ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হোসাইন আহম্মদ জানান, একটি নাশকতা মামলায় বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বিকেলে আটক করা হয় বাদলকে। পরে আইনানুগভাবে শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিবদমান এক গ্রুপের নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে নোয়াখালী প্রেসক্লাব এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বাদলের গ্রেপ্তারের পর বসুরহাটজুড়ে বৃহস্পতিবার রাতভর কাদের মির্জাকেও গ্রেপ্তারের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। অতিরিক্ত র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা পৌরভবন ঘিরে রাখায় জনমনে এ আশঙ্কা দেখা দেয়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহত হন। এরপর গত ৯ মার্চ রাতে বসুরহাট পৌরভবনের পাশে আবারো ওই দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আলা উদ্দিন নামের আরেকজন সিএনজিচালক নিহত হন।
আওয়ামী লীগের বিবদমান এই দুই গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই পৌরমেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল।
শেখ সোহান