আর্কাইভ থেকে আইন-বিচার

সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নির্বাচন চেয়ে পুনরায় রিট

একাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে আবারও তফসিল ঘোষণা ও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের দাবিতে পুনরায় রিট আবেদন করা হয়েছে। এ রিট শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এই মুহূর্তে এ ধরণের রিট শুনবো না।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ অপারগতা প্রকাশ করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শিব্বির আহমেদ।

পরে রিটকারী ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যান ইমাম হায়াত সাংবাদিকদের বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। এই রিট আবেদনটি হাইকোর্টের অন্য বেঞ্চে শুনানির উদ্যোগ নেব।

এর আগে গতকাল সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চেয়ে ফের রিট দায়ের করা হয়। ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল এ রিট দায়ের করেন। রিটের পক্ষের আইনজীবী হলেন অ্যাডভোকেট শিব্বির আহমেদ।

গেলো ২০ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা চেয়ে দায়ের করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

সেদিন রিটের পক্ষের আইনজীবী বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশনকে লিগ্যাল নোটিশ না পাঠিয়ে সরাসরি রিট দায়ের করায় হাইকোর্ট রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। এ কারণে গেলো ২১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। এরপর আজ ফের রিট দায়ের করা হয়।

প্রথমে গেলো ১০ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে এবং সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পুনরায় তফসিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল।

রিট আবেদনে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যান ইমাম হায়াত হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।

রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) বিবাদী করা হয়েছে।

ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যান ইমাম হায়াত সেদিন বলেছিলেন, গত নির্বাচনে আমরা দেখেছি ক্ষমতাসীন সংসদ সদস্যগণ নিজ নিজ আসনে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রশাসন, পুলিশ ও নিজেদের সশস্ত্র লোকদের ব্যবহার করে ভোটকেন্দ্র দখল ও অন্যদের ভোট প্রদানে বাধার সৃষ্টি করেছে।

তিনি আরও বলেন, সংসদ বহাল রেখে জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচন অসম্ভব। প্রহসনমুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের আদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছি।

চলতি বছরের ৮ মে উচ্চ আদালতের নির্দেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেয়েছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ। ইসিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের নিবন্ধন নম্বর ৪৬। দলটির নির্বাচনী প্রতীক হচ্ছে আপেল।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন