আর্কাইভ থেকে স্বাস্থ্য

এ বছর দেশে রেকর্ড এইডস রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু

দেশে এ বছর  সর্বোচ্চ এইডস রোগীর মৃত্যু ও শনাক্ত হয়েছে। ২০২৩ সালে নতুন করে এইডস রোগী পাওয়া গেছে ১ হাজার ২৭৬ জন। আর এই সময়ে এই রোগে মৃত্যু হয়েছে ২৬৬ জনের, যা আগের বছরগুলোর তুলনায় সর্বোচ্চ।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে এইডস দিবস উপলক্ষ্যে এই তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ১৯৮৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সবমিলিয়ে এইডস রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ৯৮৪ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮৬ জনের। এর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যু হয় ২০২২ সালে, সেই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯৪৭ জন ও মৃত্যু হয়েছিল ২৩২ জনের। এর আগে, ২০২১ সালে দেশে এইডস শনাক্ত হয়েছিল ৭২৯ জনের, তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছিলে ২০৫ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, এইডস আক্রান্তদের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসা আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ। সরকার বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। সরকার ডেভেলপমেন্ট পার্টনার ও এনজিওগুলো এইডস নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে। তাও এই রোগ এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

এইডস নিয়ে প্রচারণার ঘাটতির কথা উল্ল্যেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলেন, এইডস সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষ জানতে পারে বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার সময়। তখন এইডসের পুরো মিনিং জানতে হয়। দেশের সব হাসপাতালে এইডসের চিকিৎসা নেই, বিশেষায়িত কোনো হাসপাতালও নেই।

প্রসঙ্গত, সভায় বক্তারা প্রচরণা ও এইডস রোগী শনাক্তের উপর সবথেকে গুরুত্ব আরোপ করেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন