নিউমার্কেট সংঘর্ষ: গ্রেপ্তার আরও ৩
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও তিনজনকে শরীয়তপুর ও কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ মে) কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিস্তারিত জানানো হবে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে পাঠানো এক ক্ষুদেবার্তায় জানানো হয়।
গেলো ২৮ এপ্রিল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, নাহিদ হত্যার ঘটনায় ঢাকা কলেজের হিসাব বিজ্ঞানের ছাত্র আব্দুল কাইয়ূম ও পলাশ, সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্র ইরফান, বাংলা বিভাগের ছাত্র ফয়সাল ও ইতিহাস বিভাগের জুনায়েদ ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গেলো ২৭ এপ্রিল ডিবির পৃথক অভিযানে ঢাকা কলেজ থেকে ইমনকে এবং পঞ্চগড় থেকে কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনকে ২২ এপ্রিল বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর রাতেই হস্তান্তর করা হয় নিউমার্কেট থানা পুলিশের কাছে।
উল্লেখ্য, গেলো ১৮ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও আবার পরের দিন সকাল ১০টার পর থেকে ফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়। এছাড়া সংঘর্ষের এ ঘটনায় দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের একজন ডেলিভারিম্যান, অন্যজন দোকান কর্মচারী।
ডেলিভারিম্যান নাহিদ নিহতের ঘটনায় বাবা মো. নাদিম হোসেন বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় হত্যা মামলা করেন। মোরসালিনের ভাই বাদী হয়ে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে। একটি মামলা বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে। দুই মামলাতে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন ছাড়াও এ মামলায় আরও যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- আমির হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপু, হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহিদুল ইসলাম শহিদ, জাপানি ফারুক, মিজান বেপারী, আসিফ, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, তোহা, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল।
তাসনিয়া রহমান