আর্কাইভ থেকে ফুটবল

পেনাল্টিতে পয়েন্ট বাঁচলো রিয়ালের

গত বছর দুই মৌসুম পর রিয়াল মাদ্রিদ যে লা লিগা পুনরুদ্ধার করতে পারলো বার্সেলোনার হাত থেকে, তাতে ফুটবল বিশেষজ্ঞরা পেনাল্টি গোলের বড় ভূমিকা দেখেন। অনেক ম্যাচের খুব গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে পেনাল্টি পায় রিয়াল আর সেগুলোকে নিখুঁতভাবে তেকাঠিতে পাঠিয়ে দেন সার্জিও রামোস।

গত বছর যে পেনাল্টি ছিল আশীর্বাদ, এবার তা অভিশাপ হয়ে ওঠে কি না এমনটা এখন রিয়ালের মনে হতেই পারে। শনিবার ভিয়ারিয়াল একটি পেনাল্টি গোলের সুবাদেই নিজেদের মাঠে রুখে দিয়েছে রিয়ালকে (১-১)।

আগের ম্যাচেই ভ্যালেন্সিয়া তাদের মাঠে রিয়ালকে তিন পেনাল্টির কল্যাণে নাস্তানুবাদ করেছে ৪-১ গোলে। শনিবার ভিয়ারিয়ালের মাঠ এস্তাদিও লা সিরামিকায় খেলতে গিয়ে আবারও পেনাল্টি গোলের শিকার রিয়াল। তবে ৭৪ মিনিটে ম্যাচের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় জেরার্ড মরেনোর পেনাল্টি গোল নিয়ে বিতর্ক নেই। রিয়াল গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া পরিষ্কার ফাউল করেছিলেন ফরোয়ার্ড স্যামুয়েল চুকুওয়েজেকে। তা থেকে গোল করেন লেফট উইঙ্গার মরেনো, যাকে সামলাতে তটস্থ থাকতে হয়েছে ভারান-কোর্তোয়াদের।

বিতর্ক আছে বরং ২ মিনিটের মধ্যেই রিয়ালকে এগিয়ে দেওয়া মারিয়ানো দিয়াজের গোলটি নিয়ে। রাইট-ব্যাক দানি কারভাহালের পাস রিসিভ করতে গিয়ে অফসাইডে ছিলেন লুকাস ভাসকেজ এমনটা ভেবে এক মুহূর্তের জন্য পতাকা কিন্তু তুলেওছিলেন সহকারি রেফারি। ওই সময়ে কারভাহাল বলটি ক্রস করেন মারিয়ানোকে। ডমিনিকান-স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের হেডে সেটি যায় জালে। স্বাগতিক দর্শকেরা অফসাইডের অভিযোগে হৈচৈ করলেও লাভ হয়নি। রেফারি হার্নান্দেজ হার্নান্দেজ গোলের বাঁশিই বাজিয়েছেন।

মারিয়ানো এক বিস্ময়। সর্বশেষ গত মৌসুমে হলুদ সাবমেরিনের বিপক্ষেই প্রথম একাদশে নেমে জোড়া গোল করেছিলেন। তাদের বিপক্ষেই এক বছর ছয় মাস ১৬ দিন পর রিয়ালের প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়ার ১০৭ সেকেন্ডের মধ্যেই গোল। গত মৌসুমেই লা লিগা এল ক্লাসিকোতে বদলি নামার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে গোল করে বার্সেলোনার কপাল পুড়িয়েছিলেন মারিয়ানো। এ মৌসুমে আগের ম্যাচটিতেই প্রথম খেলার সুযোগ পান। আর তাতে বদলি নামার দুই মিনিটের মধ্যেই রিয়ালের গোল করেন ভ্যালেন্সিয়ার কাছে ৪-১-এ হারা ম্যাচে।

করিম বেনজেমার চোট, লুক ইয়োভিচের করোনা। সহজাত স্ট্রাইকার হিসেবে জিনেদিন জিদান প্রথম একাদশে মারিয়ানোকেই নামান। ২৭ বছর বয়সী স্ট্রাইকার মাঠে নেমে দেখিয়েও দিলেন বেনজেমার জুতোয় ভালোই গলে যায় তার পা।

প্রথমার্ধে ভালোই খেলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয়ার্ধে হলুদ জার্সির দলটি এমনই ঘুরে দাঁড়ায় যে সাবমেরিনের মতো পানিতে ডুবে আঘাত করতে হয়নি। চোটে ছিটকে পড়া সার্জিও রামোসহীন রিয়ালের রক্ষণে সরাসরি হানা দিয়েছে অনেকবার। তারই ফলশ্রুতি ওই পেনাল্টি গোল। যে গোলের আর জবাব দিতে পারেনি বলে দুটি পয়েন্ট গেল রিয়ালের। ৯ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়নরা চতুর্থস্থানে। সমান ম্যাচ ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল সোসিয়েদাদ।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন