শরীর তরতাজা রাখতে বছরের শুরুতেই মেনে চলুন…
নতুন বছর বলে কথা। বর্ষবরণ উপলক্ষে খাওয়া-দাওয়ায় কোনও খামতি থাকবে না। রীতিমত লাগাম ছাড়া ব্যাপার। এই সময় উধাও হয়ে যায় স্বাস্থ্য সচেতনতা। লেট নাইট পার্টি থেকে শুরু করে এর রিচ খাবার, আনন্দের জোয়ারে কোন কিছুর সীমা থাকে না। কিন্তু মন এই আনন্দের সঙ্গে সাথ দিলেও, শরীর কেন পারবে? বিশেষ করে যারা গ্যাস অম্বলের সমস্যায় ভোগেন, তাদের একটু সচেতন থাকা উচিত। উৎসবের আমেজে বদ হজম থেকে বাঁচতে মেনে চলুন সামান্য কয়েকটা নিয়ম। নতুন বছরের শুরুতে অতিরিক্ত কিংবা মসলাদার খাবার খাওয়ার ফলে যদি শরীরে অস্বস্তি ভাব হয় তাহলে ঘরেই রয়েছে সমাধান।
১. আদা বদ হজমে অত্যন্ত উপকারী। এটি হজমে সহায়ক পাচক রস ও এনজাইমের নিঃসরণ বৃদ্ধি করে। যখন মনে হবে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেছেন তাহলে হজমের জন্য কয়েকটি গুলো তাজা আদা সামান্য লবণ ছিটিয়ে চুষে খেতে পারেন। এছাড়াও দুই চামচ আদার রসের সঙ্গে এক চা চামচ লেবুর রস আর একটু লবণ মিশিয়ে জলের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে উপকার পাবেন।
২. যতই নতুন বছর হোক, অতিরিক্ত বাইরের খাবার একটু এড়িয়ে চলুন। কারণ শরীরে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়লে ডায়রিয়া, তলপেটে ব্যথা, পেট খারাপের মতো সমস্যায় ভুগতে পারেন। এছাড়াও অতিরিক্ত ক্যাফেইন বা দুধ জাতীয় খাবারে বদহজম হতে পারে।
৩. শীতে ধনেপাতা বেশ সহজলভ্য। এতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। শুধুমাত্র খাবারের স্বাদ কিংবা গন্ধ বাড়ায় না, এটি পেট ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে। যদি মনে হয় উল্টোপাল্টা খাওয়া হয়ে গিয়েছে। অস্বস্তি অনুভব করছেন। তাহলে ধনেপাতা পরিষ্কার করে সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখবেন। পরদিন সকালে সেই জল পান করবেন।
৪. যদি দেখেন গলা জ্বালা, বুকে পিঠে ব্যথা, মাথার যন্ত্রণা, চোঁয়া ঢেকুর উঠছে তাহলে হালকা গরম জল খেতে পারেন কিংবা কিছুটা কাঁচা জোয়ান চিবিয়ে জল খেলে উপকার পাবেন।
৫. বর্ষবরণের পার্টিতে যে খাবারগুলি খেলে একবার শরীর খারাপ করছে সেই খাবারগুলি না খাওয়াই উচিত। লিভারের ফাংশন সুস্থ রাখতে সকালে ঘুম থেকে উঠে এই কয়েকদিন সামান্য কাঁচা হলুদ চিবিয়ে একটু জল খেয়ে নিন। যদি দেখেন পরপর পার্টিতে নিমন্ত্রণ রয়েছে তাহলে ডায়েটে কার্বোহাইটেট খাবারের পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে দিন। গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে জোয়ান সিদ্ধ করে সেই জল খেতে পারেন কিংবা জিরে সিদ্ধ জলও বেশ উপকারী। এছাড়াও কয়েকটি এলাচ চিবিয়ে খেতে পারেন।