আইন-বিচার

নির্বাচন করতে পারবেন না সাদিক

বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিলই থাকছে।

মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গেলো ২১ ডিসেম্বর প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদনের শুনানি শেষে আজ আদেশের দিন নির্ধারণ করেছিলেন চেম্বার আদালত।

এর আগে ২০ ডিসেম্বর সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে ফের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়। আবেদনের বিষয়টি সাদিক আবদুল্লাহর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে ফের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে।

এর আগে ১৯ ডিসেম্বর সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এর ফলে তার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রশ্নে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত ১৭ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে রিট করেন সাদিক আব্দুল্লাহ। ১৮ ডিসেম্বর বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর বেঞ্চ সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে আদেশ দেন।

গেলো ১৫ ডিসেম্বর বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানিতে এ রায় দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।

দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেন একই আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কর্নেল জাহিদ ফারুক।

অন্যদিকে জাহিদ ফারুক মামলার বিষয়ে তথ্য গোপন করেছেন অভিযোগ তুলে তার প্রার্থিতা বাতিলের আপিল করেন সাদিক আব্দুল্লাহ। সেই আপিল নামঞ্জুর হয়। ফলে জাহিদ ফারুকের প্রার্থিতা বহাল থাকে।

 

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন