জাতীয়

‘প্রতিযোগিতাহীন’ নির্বাচন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে

সম্প্রতি ঢাকার পশ্চিমা একাধিক মিশন তাদের সদর দপ্তরে আসন্ন বাংলাদেশের নির্বাচনের উপর প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে  ‘প্রতিযোগিতাহীন’ নির্বাচন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে।

বাংলাদেশে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে সত্যিকার অর্থে বিরোধী প্রার্থীর উপস্থিতি থাকছে না। সেই বিবেচনায় ওই নির্বাচনে হয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কিংবা তাদের অসংগঠিত প্রার্থীদের মধ্যে থেকে ভোটারদের একজনকে বেছে নিতে হবে।

আসন্ন বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রাক্কালে এভাবে মূল্যায়ন করেছে ঢাকার পশ্চিমা একাধিক মিশনগুলো।

প্রতিবেদনে তারা বলেছে, প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও শরিকদের অসন্তোষ রয়েছে। ডামি বিরোধী প্রার্থীদের সমর্থনে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত সংক্ষুব্ধ প্রার্থীদের একটি বড় অংশ ওই ডামি বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দলীয়ভাবে মনোনীত প্রার্থীর পরিবর্তে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থনের হার ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে।

নির্বাচনে আনার জন্য বিএনপির নেতাদের কারাগার থেকে মুক্তির প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, তবে বিএনপি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি— প্রতিবেদনে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের দেয়া এই বক্তব্যও তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমনের প্রসঙ্গ এসেছে। এতে বলা হয়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের অন্তত ২০ হাজার নেতা-কর্মীকে জেলে আটক রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কারাবন্দী অবস্থায় নির্যাতনে বিএনপির ছয়জন কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ যুক্ত করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে গেলো ১৯ ডিসেম্বর ঢাকামুখী একটি ট্রেনে আগুন দেওয়ায় চারজনের প্রাণ হারানোর প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়েছে, মর্মান্তিক ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একে অন্যকে দোষারোপ করলেও প্রকৃত অপরাধী এখনও আড়ালেই থেকে গেছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গণপরিবহনসহ বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ স্থানে অগ্নিসংযোগের তথ্য যুক্ত করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন