আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন নৌকার প্রার্থী
আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন চট্টগ্রাম-১৬ আসনের নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। সাংবাদিককে মারধর ও নাজেহাল করে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় আদালত থেকে জামিন পেলেন তিনি।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে এ মামলার শুনানি হয়েছে। গেলো ২৬ ডিসেম্বর বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন মোল্লা বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গেলো ৩০ নভেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান মোস্তাফিজুর রহমান । এসময়ে তার সাথে রিটার্নিং কর্মকর্তার রুমে ঢুকে পড়েন একডজন নেতাকর্মী।
এসময়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের প্রতিবেদক রাকিব উদ্দিন আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রশ্ন করলে, সাংসদ মোস্তাফিজুর রেগে যান। তিনি রাকিবকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে হুমকি দিতে থাকেন। তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরাও এসময় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। ধাক্কাধাক্কিতে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কিছু সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মোস্তাফিজুর রহমান চলে যাবার সময় তার গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকরা প্রতিবাদ জানাতে চাইলে নেতাকর্মীরা তাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন।
ঘটনার প্রেক্ষিতে, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের পক্ষ থেকে ‘নির্বাচন-পূর্ব-অনিয়ম’ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণকল্পে গঠিত নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ আবু সালেম মো. নোমানের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়। এর ভিত্তিতে কমিটি মোস্তাফিজুর রহমানের ব্যাখা তলব করেন। পরদিনই প্রতিনিধির মাধ্যমে ব্যাখা পাঠান নৌকার প্রার্থী।
কমিটি নিজস্ব অনুসন্ধানে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাংবাদিককে গালিগালাজ ও মারধর করে মাটিতে ফেলে দেওয়া এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পায়।এর ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের মামলাটি দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে শুনানিতে জামিনের বিরোধিতা করেন অতিরিক্ত জেলা পিপি আজহারুল হক চৌধুরী। অপরদিকে আসামি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম বজলুর রহমান।