দেশজুড়ে

বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, এএসপিসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত

বিএনপির লিফলেট বিতরণ ও বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে নাটোরের সিংড়ায় বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সহকারী পুলিশ সুপার (সিংড়া) সার্কেল আকতারুজ্জামান ও সিংড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিমসহ ৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

এ সময় পুলিশের পিকআপসহ ৮টি গাড়ি ভাঙচুর এবং পরে আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে বিএনপি নেতা দাউদার মাহমুদের মালিকানাধীন সিংড়া ফিলিং স্টেশন, তার কার্যালয় ও একটি মিনিবাস ভাঙচুর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী পালটাপালটি সংঘর্ষে এসব ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়।

খবরে বলা হয়, ঘটনার সময় নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিংড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব দাউদার মাহমুদ, রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের সাবেক প্রফেসর বিএনপি নেতা এসএম জার্জিস কাদির, বিএনপি নেতা আসাদ আলীকে আটক করা হয়েছে।

সিংড়া বাজারে বিএনপির মিছিল ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসে বিএনপি নেতা দাউদার মাহমুদের কার্যালয় ও সিংড়া ফিলিং স্টেশনে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নাটোর জেলার পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামসহ পুলিশের কর্মকর্তারা।

পরে বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বেলা সাড়ে ১২টায় সিংড়া থানা চত্বরে সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফিং করেন নাটোর জেলার পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সিংড়া বাসস্ট্যান্ডে গোপন সূত্রে নাশকতার খবর পেয়ে এএসপি সিংড়া সার্কেলের নেতৃত্বে পুলিশের কয়েকটি টিম সেখানে যায়। নাশকতাকারীরা জড়ো হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে এবং ব্যস্ত হাইওয়েতে ৭-৮টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এর মধ্যে পুলিশের একটি গাড়িও রয়েছে। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের সময় ওই গাড়িতে থাকা কয়েকজন পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন।

তারিকুল ইসলাম বলেন, এ নাশকতার মূল পরিকল্পনাকারী সামনের সারির তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এদিকে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস দাবি করে বলেন, উৎসবমুখর ভোটের পরিবেশকে নষ্ট করতে বিএনপি পুলিশকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করেছে।

ওদিকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ভোট দেওয়া যেমন সাংবিধানিক অধিকার, তেমনি বর্জন করাও সাংবিধানিক অধিকার। বিএনপির নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণের সময় পুলিশ হামলা করে তিনজনকে আটক করেছে। তিনি অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানান।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন