আওয়ামী লীগ

‘বিএনপির বিরুদ্ধে কেন ভিসা নীতি আসবে না, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জানতে চাই’

যুক্তরাষ্ট্রে ভিসানীতি নিয়ে অনেক কিছু বলেছিল। নির্বাচনে করতে যারা বাধা দিতে তাদেরকে ভিসা নীতি দেবে। বিএনপি প্রকাশ্যে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করছে। তাহলে এখনো কেন তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি আসবে না, কেন তাদেরকে ভিসা নীতি দেয়া হচ্ছে না। এই বিষয় আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জানতে চাই। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, নির্বাচনের পরেই বুঝা যাবে নির্বাচন বিদেশিদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কিনা। বিএনপি থাকলে নির্বাচনটা মোরকম্পিটিটি হতো, সেটা আমরা স্বীকার করি। তারপরও নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে বিজয় হবে ইনশাল্লাহ, কত আসন পাবে সেটা নির্বাচনের পরেই বুঝা যাবে। আমরা আশা করি ভালো আসন পাব। নির্বাচনের পরেই নির্দিষ্ট ভাবে সংখ্যা বলা যাবে। নির্বাচনের রেজাল্ট বলে দেবে বিরোধী দল কারা হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সকল ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে আজকে সকালে কমনওয়েলথের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সাথে আওয়ামী লীগের বৈঠক হয়। এই নির্বাচন নিয়ে কমনওয়েলথের এর ব্যাপক আগ্রহ আমরা লক্ষ্য করেছি। তারা আশা করছে এ নির্বাচন একটি সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কেউ নাশকতা করলে আর ফলাফল ভালো হবে না। এই নির্বাচনে ভোটারদের ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করার করবে, যাতে কেউ বাধাগ্রস্ত করতে না পারে। কেউ যেন সংঘাত সহিংসতা সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য সকলকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে নির্বাচন হলো উৎসব, গণতন্ত্রের উৎসব। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বরং তীব্র শীত উপেক্ষা করে জনগণ নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছে।

তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২৮টি রাজনৈতিক দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এবং ২৯৯ আসনে মোট প্রার্থী আছেন ১ হাজার ৯৭০ জন। যার মধ্যে ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। সুতরাং নির্বাচনটি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

কাদের বলেন, ইতোমধ্যেই বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক এসেছেন। তা দেখে আমরা উৎসাহিত বোধ করছি। তারা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন স্বচক্ষে পর্যবেক্ষণ করবেন। আমরা আশা করবো— অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তার সঠিক চিত্র তারা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরবেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন