গাজা সম্পর্কে ইসরায়েলের ঘোষণার প্রতিক্রিয়া জানালো ফ্রান্স
‘গাজা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড এবং এটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার ইসরায়েলের নেই।’ বলেছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোন্না। সম্প্রতি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রকাশ্য উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের দুই উগ্রপন্থি মন্ত্রী। তাদের এমন ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সিএনএন’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফরাসি মন্ত্রী বলেছেন, ‘গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার ইসরায়েলের নেই, যেটি ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ড। আমাদের আন্তর্জাতিক আইনের মূলনীতিতে ফিরে যেতে হবে এবং এই নীতিকে সম্মান জানাতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলি মন্ত্রীদের এ ধরনের ঘোষণা ‘দায়িত্বহীন’ এবং এটি আমাদের ‘বাস্তবতা থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে।’ এছাড়া এ ধরনের মন্তব্য ইসরায়েলের দীর্ঘকালীন পরিকল্পনারও পরিপন্থি।”
‘গাজা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড। যেটি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অংশ হতে চায়। আমরা দুই রাষ্ট্রনীতিকে সমর্থন জানাই। যেটি একমাত্র কার্যকরী সমাধান। ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রে গাজা এবং পশ্চিম তীরকে অবশ্যই ফিলিস্তিনের অংশ হতে হবে।’ যোগ করেন ফরাসি মন্ত্রী।
এছাড়া লেবাননসহ অন্যান্য অঞ্চলে যেন যুদ্ধ ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে নজর রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গেলো সপ্তাহে বার্তাসংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে জানায়, গাজার বাসিন্দাদের আফ্রিকায় পাঠাতে গোপনে কাজ করছে ইসরায়েল। এর অংশ হিসেবে কঙ্গোসহ কয়েকটি আফ্রিকান দেশের সঙ্গে আলোচনাও করেছে তারা।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা মন্ত্রী সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, গাজায় এমন হামলা চালানো হচ্ছে; যেন এটি একটি ব্যর্থ অঞ্চলে পরিণত হয় এবং গাজার বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে অন্যত্র চলে যান।
এদিকে দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের নির্বিচার হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হওয়ার পর যেসব পশ্চিমা দেশ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ফ্রান্স।