৭ জানুয়ারি নির্বাচনকে ঘিরে জাতিসংঘের ক্ষোভ!
বাংলাদেশে রোববার(৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অনুষ্ঠানকে ঘিরে দমনপীড়নমূলক পরিবেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। নির্বাচনের আগে, নির্বাচনকালে ও পরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের বলেও জানায় সংস্থাটি।
জাতিসংঘের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ও সংগঠনের অধিকারবিষয়ক বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার ক্লেমেন্ট এন ভৌল এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শুক্রবার নিজের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে ক্লেমেন্ট এন ভৌল লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও নাগরিক সমাজের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা একাধিকবার আহ্বান জানিয়েছি। এর পরও আসন্ন নির্বাচন ঘিরে যে দমনমূলক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আমি খুবই বিরক্ত।’
একই দিন পরবর্তী আরেক এক্স হ্যান্ডলে জাতিসংঘের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ও সংগঠনের অধিকারবিষয়ক বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার লিখেন.‘ভিন্নমত দমনে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, বিক্ষোভকারী ও বিরোধীদের অপরাধী সাব্যস্ত করা, পুলিশ বাহিনীর বাড়াবাড়ি ব্যবহার এবং সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে আমি আগেও যে আহ্বান জানিয়েছিলাম, তা পুনরায় জানাচ্ছি।’
সর্বশেষ এক্স হ্যান্ডলে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি নিয়ে লিখেছেন। ক্লেমেন্ট এন ভৌল লিখেছেন, ‘নির্বাচনের আগে, নির্বাচনকালে ও পরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের।’
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তারপরও মার্কিন ডিপার্টমেন্ট স্টেট ও জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গটি নিয়মিত ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতিটি ব্রিফিংয়ে তাদের প্রশ্নের কারণেই জাতিসংঘ ও ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট জবাব বা মন্তব্য করে থাকে।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক একাধিকবার বলেছেন, ‘আমরা (জাতিসংঘ) একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছি। এটা এমন একটি নির্বাচন হতে হবে, যেখানে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন। স্পষ্টতই, নির্বাচনের পর হয়ত আমরা কিছু বলব, তবে এখন পর্যন্ত আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।’