আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

সন্দেহভাজন ১০০ ধর্ম ব্যবসায়ীর তালিকা গেলো দুদকে

প্রায় এক হাজার মাদরাসার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সারা দেশে সন্দেহভাজন ১০০ ধর্ম ব্যবসায়ীর তালিকা করেছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয় গঠিত মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গঠিত গণকমিশন। 

আজ বুধবার (১১ মে) দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লার কাছে এ শ্বেতপত্র তুলে দেন গণকমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। গণকমিশন সন্দেহভাজন এসব ধর্ম ব্যবসায়ীর দুর্নীতির তদন্ত চায়।

এসময় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সাংবাদিকদের বলেন, তারা প্রায় এক হাজার মাদরাসার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ শ্বেতপত্র তৈরি করেছেন। এতে তাদের সময় লেগেছে ৯ মাস। ২২শ পৃষ্ঠার এ শ্বেতপত্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও দেয়া হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

জামায়াত ও ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে অর্থায়ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে সাবেক এ বিচারপতি বলেন, ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা মানিলন্ডারিং করেছে। দুদকে সেই তথ্য দেয়া হয়েছে। কারণ ধর্মান্ধ এ গোষ্ঠীকে বাড়তে দেয়া যাবে না।

শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, শ্বেতপত্রে ডিসি, এসপি ও ইউএনওসহ যারা এ গোষ্ঠীকে উস্কানি দেয় তাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছ। বিশেষ করে নোয়াখালীর এসপির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের এ শ্বেতপত্র দুদকের কাজে আসবে।

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, তারা প্রায় এক হাজার মাদ্রাসা ও ওয়াজকারীদের ওপর তদন্ত করে এ শ্বেতপত্র তৈরি করেছেন। এতে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ও হেফাজতের কর্মকাণ্ড উঠে এসেছে। ধর্মান্ধ এ গোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক জবাবদিহিতার আওতায় আনা জরুরী।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন