‘ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে কমিশন’
দ্বাদশ সংসদ জাতীয় নির্বাচনে এখন পর্যন্ত সারাদেশ থেকে যে খবর পাচ্ছি তাতে ভোট সুন্দর পরিবেশে হচ্ছে। আশা করি শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ হবে। ঢাকা শহরে ভোটার উপস্থিতি একটু কম, সেটা বরাবরই কম থাকে। কিন্তু গ্রামে প্রচুর ভোটার। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন তারা। বলেছেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়া শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আহসান হাবিব খান বলেন, আমি ভোটারদের বলবো আপনারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে আসুন। আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিন। আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন। তারা ভোটারদের সব ধরনের সহযোগিতা করছেন।
যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছেন তাদেরকে বলবো, আপনারা সততা ও নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করবেন, পক্ষপাতের অভিযোগ পেলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো।
ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য।
এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে।
এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি।
এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
এএম/