ফেব্রুয়ারিতে উড্ডয়নের অপেক্ষায় একুশে ১
প্রথমবারের মতো আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারি সহায়তায় ‘একুশে-১’ নামে প্রটোটাইপ রকেট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নাহিয়ান আল রহমান অলি ও তাঁর দল সরকারি সহায়তায় এই প্রটোটাইপ রকেটটি তৈরি করেছে।
গেলো নভেম্বরে বিকেলে নগরীর টাউনহল চত্বরে রকেটটি উন্মোচনের জন্য এক প্রদর্শনীর আয়োজন করে এর আবিস্কারকরা।
উদ্ভাবক নাহিয়ান জানান, রকেটটিকে পৃথিবীর উচ্চ বায়ুমণ্ডলে নিয়ে আবহাওয়ার বিভিন্ন বার্তা সংগ্রহ করে আবার ফিরিয়ে আনা হবে। রকেট একুশের ওজন ৪৫ কেজি, লম্বায় ১২ ফুট, ব্যাস সাড়ে ৬ ইঞ্চি। এটিকে সাউন্ডিং রকেট বলা হয়।
রকেটটির ধরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, সাউন্ডিং রকেট হলো, এক বা দুই পর্যায়ের কঠিন প্রপেলান্ট রকেট, যা উচ্চ বায়ুমণ্ডলীয় অঞ্চল অনুসন্ধান এবং মহাকাশ গবেষণার জন্য ব্যবহৃত হয়। একুশের মাধ্যমে মূলত আবহাওয়ার বার্তা পাওয়া যাবে। এটি বায়ুমণ্ডলের ৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে উড্ডয়ন করে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
এ গবেষক আরও জানান, রকেট একুশে তৈরির কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। রকেটটি ইনস্ট্যান্ট ডাটা কমিউনিকেশনের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করবে।এরপর প্যারাসুটের মাধ্যমে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। ওই সময় সার্ভারে সংগ্রহ করে রাখা হবে আবহাওয়ার তথ্য।
রকেটের জ্বালানী সম্পর্কে এর উদ্ভাবক বলেন, প্রথমে তরল জ্বালানির রকেট ইঞ্জিন ডিজাইন করেছিলেন তারা। কিন্তু তরল জ্বালানির দাম বেশি হওয়ায় পরে বিকল্প হিসেবে সলিড ফুয়েলের ইঞ্জিন তৈরি করেন।
নাহিয়ান জানান, বাংলাদেশে আগে রকেট উৎক্ষেপণের নীতিমালা না থাকায় রকেট তৈরির পর জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়। এখন সরকারিভাবে রকেট উৎক্ষেপণের অনুমতি মিলেছে।
তিনি আরও বলেন, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের এটুআই প্রজেক্ট আয়োজিত ইনোভেশন চ্যালেঞ্জে প্রজেক্ট ক্যাটাগরিতে চলতি বছর চ্যাম্পিয়ন হয় তাদের দল । ফলে এই টিমকে রকেট তৈরিতে ৫০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প দেয় এটুআই। যার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে দেশের প্রথম রকেট একুশে ১।
প্রসঙ্গত, ‘একুশে-১’ তৈরিতে ২৪ জন কাজ করেছেন। এর মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েছেন। একুশের পরের ধাপ ‘বায়ান্ন’ ও তারপরে ‘একাত্তর’ নামে আরও দুটি রকেট তৈরি করবেন তারা।
আই/এ