আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

মুস্তাফিজ কে! কয়টা টেস্ট খেলেছেন? প্রশ্ন মুমিনুলের

সদ্য সমাপ্ত চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের পেসারদের পারফরম্যান্সে খুশি নন অধিনায়ক মুমিনুল হক। সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে সমীহ জাগানিয়া পারফরম্যান্স ছিল বাংলাদেশের পেসারদের। তবে চট্টগ্রাম টেস্টে পেসারদের বোলিং সন্তুষ্ট করতে পারেনি মুমিনুলকে।

চোটের কারণে এই সিরিজে নেই সেরা হাতিয়ার তাসকিন আহমেদ। এবাদত হোসেন চৌধুরী ছিলেন না একাদশে। শরিফুল ইসলামের সাথে একাদশে ছিলেন খালেদ আহমেদ। শরিফুল আবার চোটের কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে বল করতে পারেননি।

ম্যাচ শেষে মুমিনুল জানান, ‘আমার মনে হয় পেস বোলাররা আরেকটু ভালো বল করতে পারত। তাদের প্রতি আমাদের সবার প্রত্যাশাও বেড়েছে। প্রথম ইনিংসে ওরা আরেকটু ভালো বল যদি করতো। দ্বিতীয় ইনিংসে তো শরিফুল ছিলেন না। খালেদ আরেকটু ভালো লেন্থে বল করলে ভালো হতো।’

পেসারদের ভালো করার জন্য সাধারণত এশিয়ার বাইরের উইকেটকে বেশি কার্যকরী ধরা হয়। তাই বলে চট্টগ্রাম বা ঢাকার উইকেটে ভালো করা সম্ভব নয়, মানতে নারাজ মুমিনুল। তার ভাষায়, ‘বিশ্বের যেকোনো উইকেটে পেসাররা ভালো করতে পারে, যদি বোলাররা পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করতে পারে। ঢাকা টেস্টের জন্য স্বভাবতই পরিকল্পনা একটু ভিন্ন হবে।’

তবে মুমিনুলকে তৃপ্ত করেছে তিন স্পিনারের পারফরম্যান্স। সাকিব আল হাসানের সাথে তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসানের বোলিং ‘স্পোর্টিং’ উইকেটেও ছিলো সন্তোষজনক। অধিনায়ক বলেন, ‘এই উইকেটে স্পিনারদের উইকেট পাওয়া খুব কঠিন। সাকিব ভাইর ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। ওরা ভালো করছিলো, তখন সাকিব ভাই রান নিয়ন্ত্রণ করে। নাঈম তাইজুলও ভালো করেছে। উইকেট বিচারে স্পিনাররা খুব ভালো বল করেছে।’

জয়ের আশা জাগানিয়ার ম্যাচে নিষ্প্রাণ ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো বাংলাদেশকে। 

তবু খুশি দেশের সমর্থকরা। কারণ চট্টগ্রাম টেস্টে সেঞ্চুরি এসেছে দুটি। তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম সেঞ্চুরি করেছেন, মুশফিক ছুঁয়েছেন পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক, ৫০ ছাড়িয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও লিটন দাস। 

অবশ্য এসব দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ঢাকতে পারেনি অধিনায়ক মুমিনুল হকের ব্যাটিং ব্যর্থতা।  মাত্র ২ রান করে আউট হয়েছেন তিনি।

তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, মুমিনুলের ব্যাট কবে কথা বলবে? 

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে সেই প্রশ্নই উঠলো।  সেখানে একই জবাব দিলেন তিনি। বললেন, ‘আমার ব্যাটিং নিয়ে আমি অতো উদ্বিগ্ন নই, চিন্তিতও নই।’

পুরোনো কথারই পুনরাবৃত্তি শোনা গেলো সংবাদ সম্মেলনে। বললেন, ‘একটা দলে তো ১১ জনের পারফর্ম করা কঠিন তাই না। ১১ জন যদি ১০০ করে তা হলে তো রান ১১০০ হবে। আমার কাছে মনে হয় ক্রিকেট খেলাটাই তো এ রকম। হয় দুজন পারফর্ম করবে বা তিনজন পারফর্ম করবে। যারা করবে তারা বড় করবে। এটা বড় কোনো বিষয় নয়।’

হাসিব  মোহাম্মদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন