আম রপ্তানিতে আরও একধাপ এগোলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ
রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন ও রপ্তানিতে আরও একধাপ এগোলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ। মুকুল আসার আগেই নিরাপদ, রাসায়নিকমুক্ত ও রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনের লক্ষ্যে চাষিদের সঙ্গে চুক্তি করে বাগান লিজ নিচ্ছে মেসার্স ফার্মইমাজিনেশন (হ্যাপি হাট) নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের মূল লক্ষ্য বিদেশে আম রপ্তানি করা।
সম্প্রতি চাপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার আড্ডা বাজার এলাকায় একটি ৪০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হ্যাপি হাটের নির্বাহী পরিচালক মো. শাহীদ।
তিনি বলেন, গত বছর এ এলাকার চাষিদের কাছ থেকে আম কিনে বিদেশে রপ্তানি করেছিলেন। কিন্তু সঠিকভাবে ফ্রুট ব্যাগিং না করায় কিছু মাছি পোকার আক্রমণ ছিল। তবুও প্রায় ১০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি করেছিলেন তার।
আগামী বছর আরও বেশি আম বিদেশে রপ্তানি করতে বায়ারদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। আর এজন্যই চাষিদের সঙ্গে মিশে গিয়ে নিজেরাই নিরাপদ আম উৎপাদন করবার জন্য এ চুক্তি ।
বারির ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরফ উদ্দিন বলেন, কয়েক বছর থেকেই শুনছি রপ্তানিকারকদের চাহিদা মতো আমচাষিরা দিতে পারছেন না। কারণ তাদের চাহিদামতো আম ফলাতে অনেক খরচ হয়। তবে যেহেতু এই বাগানটি এখন থেকে রপ্তানিকারকরাই পরিচর্যা করবে, তাই এতে বিদেশে রপ্তানিযোগ্য আম চাষ করা সম্ভব।
প্রসঙ্গত, এবার ৩০০ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করতে চায় হ্যাপি হাট। চলতি বছর বিশ্বের ৩৬টি দেশে বাংলাদেশের আম রপ্তানির কথা রয়েছে।