আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

নেশার ২২শ’ টাকার জন্য ছিনতাই

বাবা বিত্তবান, রয়েছে চারতলা বাড়ি। নিজেও পপুলার হেলথ কেয়ার কোম্পানির প্রতিনিধি হিসাবে চাকরি করেন। তারপরও নেশার টাকা যোগান হয় না। তাই তো বেছে নিয়েছে ছিনতাইয়ের পথ। তবে বারবার ছিনতাই করে রেহাই পেলেও এবার পুলিশের জালে ধরা পড়েছে এই ছিনতাইকারী।

শনিবার (২১ মে) রাতে নওদাপাড়া বাজার থেকে তাকে আটক করে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। নেশার টাকান জন্য ছিনতাইয়ের পথ বেছে নেয় আব্দুল ওয়াদুদ বুলবুল। তিনি রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ নওদাপাড়া বাজার এলাকার প্রকৌশলী আব্দুল হামিদের ছেলে। নগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহযোগিতায়

পুলিশ জানায়, দুই হাজার টাকা দামের দুই বোতল ফেনসিডিল ও আড়াইশো টাকা দামের ৪ টি ইয়াবা প্রতিদিন তার নেশার জন্য লাগে। প্রতিদিন নেশার জন্য যে টাকা লাগে তা চাকরি থেকে আসেনা। এমনকি নেশা করার জন্য বুলবুলকে বাড়ি থেকে টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এজন্য বেছে নেয় ছিনতাইয়ের পথ। অনেক আগে থেকেই তিনি নগরী ও আশপাশের এলাকায় ছিনতাই করেছে আসছে। আর ছিনতাই কাজটি বুলবুল একাই করত। এত কিছু থাকার পরও কেবল নেশার টাকা যোগাড় করতে ছিনতাইয়ের পথ বেছে নেয়া বুলবুল এমনটাই স্বীকারোক্তি দিয়েছে পুলিশের কাছে।

এরআগে গত ২০ মে দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের একজন শিক্ষকের স্ত্রীর ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায় আব্দুল ওয়াদুদ বুলবুল নামের এই ছিনতাইকারী। ব্যাগে দামি মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিল। ওই শিক্ষক অভিযোগ দেয়ার পর তাকে আটকের জন্য অভিযানে নামে নগরীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। ছিনতাই করার ৮৮ ঘন্টার মধ্যেই সিসি ক্যামেরার সহযোগিতায় তাকে আটক করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ।

এমন স্বচ্ছল পরিবারের প্রতিষ্ঠিত যুবকের এমন কাণ্ডে বিস্ময় প্রকাশ করেছে খোদ পুলিশ প্রশাসন। রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, এই ঘটনায় আমরা অবাক। শিক্ষিত ও স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান সে, তাদের নিজেদের ৪ তলা বাড়ি আছে। তার পরেও সে ছিনতাই করছে। 

একবার নয়, একাধিক বার। মানুষের নৈতিকতা কোথায় চলে গেছে। সম্ভবত সে মাদকের টাকা জোগাড় করতেই এই কাজ করে আসছিল।

 

এসআই/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন